বাংলাদেশ

৫ কোটির বেশি নাগরিকের গোপন তথ্য ফাঁস: ‘আমরাও শুনছি, বিস্তারিত জানতে হবে’

আমাদের সাইবার ইউনিট কাজ শুরু করছে আরও তথ্য জানার জন্য
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের ৫ কোটিরও বেশি নাগরিকের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসার ঘটনায় কেউ যুক্ত থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এনআইডি আমাদের অধীনে কিন্তু এখনো আমরা কার্যক্রম শুরু করিনি। এখনো এই কার্যক্রম আমাদের নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে। আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে শিগগির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসবে। তখন থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে পারব।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরাও শুনছি, বিস্তারিত আমাদের জানতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ঘটনাটি কী ঘটেছে, কতখানি ফাঁস হয়েছে—আমরা অবশ্যই দেখব। যদি দেখি কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে, কেউ এতে সহযোগিতা করেছে, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমরা কখনো কাউকে ছাড় দেই না এটা আপনারা দেখেছেন।'

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের সাইবার ইউনিট কাজ শুরু করছে আরও তথ্য জানার জন্য।'

এদিন সকালে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনা‌ইদ আহমেদ পলক বলেন, 'যে ওয়েবসাইটটার তথ্যগুলো পাবলিক হয়ে গেছে, সেখানে ন্যূনতম যে সিকিউরিটি সার্টিফিকেট নেওয়ার কথা ছিল সেটাও ছিল না এবং এপিআইটা যেটা ক্রিয়েট করা হয়েছে সেখান থেকে ইচ্ছা করলেই কেউ তথ্যগুলো দেখতে পারছে।'

'এর জন্য কোনো বিশেষভাবে সাইবার হ্যাকার-ক্রিমিনাল এটা হ্যাক করেছে বা তথ্যটা চুরি করে নিয়ে গেছে এ রকম এখন পর্যন্ত আমরা তদন্তে পাইনি। আমরা যেটা পেয়েছি, আমাদের সরকারের ওয়েবসাইটটিতে কিছু টেকনিক্যাল দুর্বলতা ছিল। যার ফলে খুব সহজেই দেখা যাচ্ছিল, পড়া যাচ্ছিল এবং সবার জন্য, বলতে গেলে প্রায় উন্মুক্ত ছিল। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম, আমি এই খবরটি জানার পরে আমরা এটির তদন্ত করি। সেখানে আমরা দেখেছি যে, এটি আসলে টেকনিক্যাল ফল্ট। এটিকে ঠিক হ্যাকিং বলা মুশকিল।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই এটার ব্যবস্থা নেব। আমাদের ২৯টি ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ঘোষণা করেছিলাম। ধাপে ধাপে এটার সংখ্যা বাড়ছে।'

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'অবশ্যই গাফিলতি আছে।'

'যারা এখানে দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় শক্ত ব্যবস্থা নেবে,' আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।

Comments