নেত্রকোণায় বিএনপি-আ. লীগ সংঘর্ষে ওসিসহ আহত অন্তত ২০
নেত্রকোণার মদন উপজেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ২ পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার চাঁনগাও ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, এএসআই খোরশেদ আলম ও পুলিশ সদস্য আজিজুল ইসলামসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন।
ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মদন উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য চাঁনগাও ইউনিয়নের শাহপুর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও একই স্থানে জড়ো হতে থাকেন।'
'একপর্যায়ে ২ পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে সংঘর্ষ বেধে যায়', যোগ করেন তিনি।
উপজেলা বিএনপির সাধারাণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ৭ নেতা-কর্মী আহত হন। আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'
অভিযোগ অস্বীকার করে মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান এখলাছ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এসময় আমাদের ৭ নেতা-কর্মীও আহত হলে তাদের মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।'
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির কর্মসূচি পালনের খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ২ পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যেতেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।
Comments