‘তাদের তৈরি করা নির্বাচন কমিশন তাদের ডিসি-এসপিরা মানে না’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে আবারো ক্ষমতায় আসতে।

তিনি বলেন, তাদের তৈরি করা নির্বাচন কমিশন তাদের ডিসি-এসপিরা মানে না। তাদের কথা শোনে না। তাহলে এই নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে কাকে নির্বাচিত করার জন্য? তাদের। আবার একটা ভুয়া নির্বাচন দেখিয়ে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে চায়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের এই অনির্বাচিত সরকার সারাক্ষণ ঢাক-ঢোল পেটাচ্ছে যে, তারা দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে গেছে। তারা সম্পূর্ণ গণতন্ত্র দিয়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, এ ধরনের একটি সম্পূর্ণ গণবিরোধী একটি শক্তি তারা এখন দেশ শাসন করছে। এইটুকু আমি বলতে চাই, আর নয়। এখন সময় এসে গেছে যার যা শক্তি আছে সেই শক্তি দিয়ে দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে।

আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করছেন, এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য এই সরকার কীভাবে উলঙ্গভাবে নেমে পড়েছে। এরা গণতন্ত্রের কথা বলে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বাধা দিচ্ছে কেন! বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে দিচ্ছে। কারণ কী? সমাবেশ যাতে বড় না হয়। সমাবেশ বড় না হলে তারা বলতে পারবে বিএনপির সমাবেশ বড় হয়নি। তাতে কী হবে! মানুষের অন্তরে তোমাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য ঘৃণা এসে গেছে। প্রতিটি মানুষ এখন তোমাদের (আওয়ামী লীগ) ঘৃণা করে। কারণ তোমরা (আওয়ামী লীগ) শুধু মিথ্যার ওপর, কথার ওপর টিকে আছো। আর কিছু নেই, বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই সরকারকে যদি আমরা সরাতে না পারি, এই দেশের-জাতির অস্তিত্ব থাকবে না। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল কিন্তু সমস্যা আজ পুরো জাতির। সংকট পুরো দেশের। তারা একে একে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেখেছেন কয়েকদিন ধরে নির্বাচন কমিশন নিয়ে কী চলছে! তাদের তৈরি করা নির্বাচন কমিশন তাদের ডিসি-এসপিরা মানে না। তাদের কথা শোনে না। তাহলে এই নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে কাকে নির্বাচিত করার জন্য? তাদের। আবার একটা ভুয়া নির্বাচন দেখিয়ে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। দুবার করেছে তাই। এত গণতান্ত্রিক যে, ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে দিয়েছে ২০১৪ সালে। আর ২০১৮ সালে...এত আস্থা তাদের জনগণের ওপর, সব সময় বলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তো আগের রাতে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে হচ্ছে কেন? একটি অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করো! সেখানে যদি টিকে থাকতে পারো মোস্ট ওয়েলকাম। তোমরা জানো সেটা তোমার পক্ষে সম্ভব না। সেই কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছো ২০১২ সালে। তারপর থেকে গায়ের জোরে, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে, নির্বাচন কমিশন তৈরি করে তোমরা বারবার ক্ষমতায় আসছো।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

4h ago