রংপুরের জনসভাস্থল পূর্ণ, মূল সড়কেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবস্থান

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার রংপুর কালেক্টরেট মাঠে সমাবেশ শুরু হয়। এতে কালেক্টরেট মাঠ থেকে ৩০০ মিটার দূরে মূল সড়ক পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন।
রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশ। ছবি: স্টার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার রংপুর কালেক্টরেট মাঠে সমাবেশ শুরু হয়। এতে কালেক্টরেট মাঠ পূর্ণ হয়ে ৩০০ মিটার দূরে মূল সড়ক পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠ ও মূল সড়কে নেতা-কর্মীদের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে।

আজ দুপুর ২টায় গণসমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন আয়োজনের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও, প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে সমাবেশের বক্তৃতা পর্ব শুরু হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। সেসময় রংপুর মহানগরসহ বিভিন্ন জেলার নেতারা বক্তব্য দেন। গণসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা রংপুর নগরীতে মিছিল করছেন। সেসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দেন।

কালেক্টরেট মাঠ পূর্ণ হওয়ায় গণসমাবেশ ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের সড়কগুলোতেও। বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেছেন সমাবেশ মাঠে। অনেকেই আবার অবস্থান করছেন সড়কগুলোতেও।

আজ ভোর থেকে রংপুর মহানগরীর প্রবেশমুখ মাহিগঞ্জ সাতমাথা, মেডিকেল মোড়, টার্মিনাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান সড়কগুলোতে খণ্ড খণ্ড মিছিলও বাড়তে থাকে।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, 'বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে আমার নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মী এসেছেন। মাঠে ঢুকতে না পেরে পাশের সড়কে অবস্থান করছেন।'

কাঁচারি বাজার স্টেশন রোডে অবস্থান নিয়েছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নেতা-কর্মীরা। ফুলছড়ি উপজেলা যুবদল‌ নেতা সোহেল রানা বলেন, 'ভেতরে ঢুকতে না পেরে এখানে বসে নেতাদের বক্তব্য শুনছি।'

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে আশপাশের  অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে, খাওয়ার হোটেলগুলো খোলা আছে।

Comments