ফখরুল-আব্বাসের জামিনের কাগজ কারাগারে, মুক্তি যেকোনো সময়

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস | ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিননামার কাগজপত্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।

আজ সোমবার বিকেলে জামিননামার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায় বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিননামার কাগজপত্র পেয়েছি। এখন সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আজই তারা মুক্তি পেতে পারেন।'

এর আগে, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়।

ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল পেশকার মো. ওমর ফারুক চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিরোধী দলের এই ২ নেতাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

গত ৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিত করতে অস্বীকৃতি জানান এবং শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন। একইসঙ্গে আদালত ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারিক আদালতে জামিনের মুচলেকা জমা না দেওয়ার নির্দেশ দেন।

চেম্বার আদালত সেই আদেশও বাতিল করেছেন।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস এর আগে ৪ বার সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত না নামঞ্জুর করেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার পর গত ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।

ঘটনার পরদিন বিএনপি ও দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের ১ দিন আগে ৯ ডিসেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করলে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশের ওপর হামলায় দলীয় নেতাকর্মীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির এই ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Parties agree on chief justice appointment, limiting emergency powers

Manifesto provision allows top-two judge choice; cabinet to approve emergency declaration

54m ago