২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক বিএনপির

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ৩ সংগঠনের আয়োজিত 'দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ' থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

তারুণ্যের সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, 'সরকার পতনে আগামী ২৭ জুলাই দুপুর ২টায় ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ করা হবে।'

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপির ৩ যুব-ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এই সরকার বৈধ সরকার নয়। এরা অবৈধ সরকার। এরা অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় জোর করে বসে আছে।'

'আজ তারা বড় বড় কথা বলে। বলে- তারা আসলেই নাকি গণতন্ত্র আসে, তারা আসলেই নাকি উন্নয়ন হয়, তারাই নাকি এ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার দিয়েছে। কী চমৎকার কথা! ২০১৪ সালে যখন ভোট করেছে, কোনো ভোটই হয়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। ২০১৮ সালে কী করেছে, আগের রাতেই ভোট করে নিয়ে গেছে। তাহলে তারা কী বৈধ সরকার হতে পারে', প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমাদের সংবিধানে ছিল নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই ব্যবস্থাকে বিচারপতি খায়রুল হকের (এ বি এম খায়রুল হক) যোগসাজশে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারা সেটিকে পাস করিয়ে নিয়েছেন, যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেখানেও তারা জনগণের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে প্রতারণা করেছে। জনগণকে ভুল বুঝিয়েছে।'

তিনি বলেন, 'সেই রায়েও পরিষ্কার বলা ছিল যে, আরও দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। হওয়া উচিত বলে তারা মনে করেছিলেন। কিন্তু এই সরকার, শেখ হাসিনার সরকার এবং স্বয়ং শেখ হাসিনা সেটিকে বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা বহাল করেছিলেন। কারণ একটাই- তারা নিশ্চিত যে, নিরপেক্ষ নির্বাচনে তারা কখনোই জয়ী হতে পারবেন না। আজকে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তারা ১০টি আসনও পাবেন না।' 

'গত ১৪-১৫ বছরে এই সরকার বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছে, অতীতে কখনোই এত বড় ক্ষতি আর হয়নি', যোগ করেন তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago