মাতুয়াইলে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৪ বাসে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১

মাতুয়াইলে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত ৪টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: দীপন নন্দী/স্টার

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলছে। এতে মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মাতুয়াইলে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। 

সেখান থেকে পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল, পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে।

ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করে পুলিশ। ছবি: স্টার

এ সময় এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের দিকে নেওয়া হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

পরে দুপুর ১টার দিকে এবং দেড়টার পর আরও ২টি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, তিনি নিজেও আহত হয়েছেন।

ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার এস এম মেহেদী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা তাদের শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা রাস্তা ছেড়ে দেয়নি। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন হয়।'

এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিলেন একজন। পরিচয় জানতে চাইলে ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলে জানান।

লাঠি হাতে কেন দাঁড়িয়ে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের পাশাপাশি আমরা রাস্তায় নেমেছি।'

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম ডেইলি স্টারকে জানান, মাতুয়াইলে বাসে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া তিশা ট্রাভেলসের চালক মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, 'গুলিস্তানে যাত্রী নামিয়ে বাস নিয়ে এখানে পাম্পে আসি। হঠাৎ মোটরসাইকেলে ৩ জন গাড়ির কাছে আসে। তাদের মধ্যে ২ জন নেমে গাড়িতে উঠে আমাকে নামতে বলে। আমি স্টার্ট বন্ধ করে গাড়ি থেকে নেমে গেলে তারা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।'

এ সময় গাড়িতে কোনো যাত্রী ছিল না বলে জানান তিনি।

সে সময় পুলিশের অবস্থান কোথায় ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গাড়ির ৫-৬ গজের মধ্যেই পুলিশ ছিল। দুই পাশেই পুলিশ ছিল। এর মধ্যেই আগুন ধরিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে গেছে।'

গতকাল মহাসমাবেশ থেকে আজ শনিবার রাজধানী ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। তাদের প্রতিহত করতে 'শান্তি সমাবেশে'র ঘোষণা দেয় যুবলীগ। পুলিশ জানিয়েছে, উভয় দল তাদের কর্মসূচির অনুমতি নেয়নি।

 

Comments