বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আটক

মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে তাকে আটক করা হয়।

মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাতারা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, 'পুলিশ এসে ভবনের সব সিসি ক্যামেরা ডিভাইস নিয়ে গেছে। পুলিশ বলেছে যে উপরের অর্ডার এসেছে, তাকে নিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করব পুলিশের কাছে, তাকে যেন আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়।'

'বাসায় সাদা পোশাকের পুলিশসহ ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় প্রথমে বাসার ভেতর এসে কথা বলেন। এরপর তারা চলে যান, কিন্তু বাসার নিচে তাদের উপস্থিতি ছিল। তারপর ১০ মিনিট পর আবার বাসার ভেতর এসে তাকে নিয়ে যায়,' যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল অসুস্থ বলেও জানান স্ত্রী রাহাতারা বেগম।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে বাসা থেকে আটক করে গাড়িতে তুলছে পুলিশ। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির উপকমিশনার (গুলশান) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মির্জা ফখরুলকে ডিবি নিয়ে গেছে।'

ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, গুলশান-২ এ মির্জা ফখরুলের বাসার নিচে সাড়ে ৯টার আগেই বেশ কিছু গাড়িতে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। সেখানে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।

পরে বিএনপি মহাসচিবকে নিচে নিয়ে এসে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। 

গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার পর রোববার সারাদেশে হরতালের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক বিবৃতিতে বলেন, 'শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত তাণ্ডব ও সশস্ত্র হামলা নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক। বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন এই সশস্ত্র ও রক্তাক্ত আক্রমণ।'

এর আগে গত বছর ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের আগে ৯ ডিসেম্বর ভোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

তুলে নেওয়ার পর বিকেলে পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি।

 

Comments

The Daily Star  | English

US strikes on Iran: what you need to know

Trump said the United States struck three main Iranian nuclear sites: Fordo, Natanz and Isfahan, with the former being hit with a "full payload of bombs."

45m ago