২ ইসরায়েলিকে মুক্তির দাবি হামাসের

রাফাহ সীমান্তের গত ১৯ অক্টোবরের চিত্র। ছবি: এএফপি

গাজায় জিম্মি করে রাখা দুই ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস।

সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, হামাস জানিয়েছে, কাতার ও মিশরের প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় জিম্মি করে রাখা ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যে দুইজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া দুইজনই নারী।

তবে বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েল সরকার বা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল ১২ এর বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিম্মি দুই ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি তাদের পরিবারকে ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটিও (আইসিআরসি) এক বিবৃতিতে দুই ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে।

দুই ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র ওসামা হামাদান আল জাজিরাকে বলেছে, তাদের মুক্তির বিনিময়ে আমরা কিছুই পাইনি। মানবিক কারণে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মিশরের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া দুই ইসরায়েলি নাগরিক স্থানীয় সময় সোমবার রাতে রাফাহ সীমান্তে পৌঁছায়।

এর আগে জিম্মি করে রাখা দুই মার্কিন নাগরিককে গত শনিবার মুক্তি দিয়েছে হামাস। তারা হলেন—জুডিথ রানান (৫৯) ও তার মেয়ে নাতালি রানান (১৭)।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার পর হামাস জানায়, কাতারের প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় 'মানবিক কারণে' জিম্মি দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

দুই মার্কিন নাগরিকের মুক্তির পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, জিম্মি বাকিদের উদ্ধারে তাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে 'জয়ের আগ পর্যন্ত' ইসরায়েলি বাহিনী তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় পাঁচ হাজার ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

ইসরায়েল বলছে, হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত চার হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English

BNP hails AL ban, urges speedy trials

Fakhrul seeks election roadmap, citing public frustration over the lack of democratic process

12m ago