ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত অন্তত ৩

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লিভিভের এই দালানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: রয়টার্স
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লিভিভের এই দালানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের পশ্চিমে লিভিভ ও ভলিনে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কর্মকর্তারা জানান, এই হামলায় অন্তত ৩ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।

ভলিন অঞ্চলের প্রশাসনিক কেন্দ্র লুৎস্কের ১টি বাণিজ্যিক ভবন আক্রান্ত হলে সেখানে ৩ জন নিহত হন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভলিনের গভর্নর ইউরিই পোহুলিআইকো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেলিগ্রামে এসব তথ্য জানান।

ভলিন অঞ্চলের সঙ্গে ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে।

লিভিভের হামলায় প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও সেখানে ১০০টির বেশি আবাসিক দালান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও, ৫০০টি জানালা ভেঙে গেছে এবং একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের খেলার মাঠ ধ্বংস হয়েছে।

লিভিভের মেয়র আন্দ্রেই সাদোভিই টেলিগ্রামে বলেন, 'অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে কিছু লিভিভে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।'

তিনি জানান, অন্তত একটি আবাসিক ভবন থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী দাবি করেছে, তারা ২৮টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৬টি ভূপাতিত করেছে। তবে লিভিভ ও ভলিনে কয়টি করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে, সেটা জানা যায়নি।

মূল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থিত পশ্চিমাঞ্চলের লিভিভ এতদিন পর্যন্ত রুশ হামলামুক্ত ছিল। তবে জুলাইতে এক আবাসিক দালানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করলে ৭ জন নিহত হন।

ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, মঙ্গলবারের এই হামলা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর আকাশপথে লিভিভের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আকারের আক্রমণ।

রয়টার্স তাৎক্ষনিকভাবে যুদ্ধক্ষেত্রের এসব খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

স্থানীয় সময় রাত ২টা থেকে শুরু করে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সমগ্র ইউক্রেন জুড়ে উড়োজাহাজ হামলার সতর্কতাসূচক সাইরেন বাজানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago