বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে সরকারের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

ঢাকা বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার চিত্র। ছবি: পলাশ খান/ স্টার

গতকাল মঙ্গলবার দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের জন্য সরকার এবং বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

এ দুর্ভোগের পেছনে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন ব্যবস্থা সংস্কার না করাকে দায়ী করে আজ বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, 'এই ব্যাপক বিভ্রাটের মধ্য দিয়ে সরকার ও বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি, অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট হয়েছে।'

বিবৃতিতে বলা হয়, বিইআরসির বিভিন্ন গণশুনানিসহ বিভিন্ন সময়ে নেতৃবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞরা জাতীয় গ্রিডের বিভিন্ন সঞ্চালন ব্যবস্থার ত্রুটিসহ ব্যবস্থাপনাগত অদক্ষতা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে এর সক্ষমতার সমন্বয়ের পরামর্শ ও এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। 

কিন্তু সরকার ও কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নজর না দিয়ে সময়ে সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোতে অধিকতর মনোযোগী থেকেছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়। 

এতে আরও বলা হয়, এভাবে জাতীয় গ্রিডের সংস্কার কাজ ফেলে রেখে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থাপনা ও লাইনকে অনিরাপদ করে রাখা হয়েছে। এ কারণে জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলীয় লাইন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। 

এ ধরণের গাফিলতি, অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ীদের অবিলম্বে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, 'জনসম্মতিহীন এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের বিদ্যুৎখাতে অরাজকতা ও চরম সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে। লোডশেডিংয়ে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। জ্বালানি সংকটের কারণে কল-কারখানা এমনকি সার কারখানা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে।'

এ পরিস্থিতিতে আগামী ১০ অক্টোবর সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে 'সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন' এবং 'রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা, হামলা-মামলা, দমন-পীড়ন, গুলি-হত্যা বন্ধের' দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

PR system a threat to democracy: Rizvi

Under the PR system, the party, not the people, will choose MPs, he says

53m ago