তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৩৫
তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুল থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে এটি আঘাত হানে। তবে ইস্তাম্বুলের বাসিন্দারাও ভূকম্পন টের পেয়েছেন।
দেশটির জাতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল, এবং এর কেন্দ্রস্থল দুজকে প্রদেশের গোলিয়াকা জেলা। আশেপাশে শহরগুলোতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
দুজকে প্রদেশের বাসিন্দা ফাতমা কোলাক এএফপিকে বলেন, 'আমরা একটি জোরালো শব্দ ও ভূকম্পনের মাঝে ঘুম থেকে উঠে যাই। আমরা ভয় পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসি। এখন আমরা বাইরে অপেক্ষা করছি।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন টুইটার বার্তায় জানান, দুজকে শহরের ৩২ বাসিন্দাসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। অপর ৩ আহত ব্যক্তি ইস্তাম্বুল ও পার্শ্ববর্তী প্রদেশ বলু ও জংগুলডাকের বাসিন্দা।
গোলিয়াকা প্রদেশে সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু জানান, ভয়ে বারান্দা থেকে লাফ দিয়ে বের হতে যেয়ে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, প্রথমবারে ভূমিকম্প হওয়ার পর আরও ৭০ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর অনেকেই গায়ে চাদর জড়িয়ে নিজ বাসস্থানের বাইরে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ মাটিতে চাদর বিছিয়েছেন এবং শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য আগুন ধরানোর ব্যবস্থা করেছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বুধবার দুজকে ও সাকায়রা প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু আরও জানান, কিছু শস্য সংরক্ষণের গোলা ক্ষতির শিকার হওয়া ছাড়া বড় আকারের ক্ষয়ক্ষতি বা দালান ধ্বসে পড়ার কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
'তবে এখনও অনুসন্ধান চলছে', যোগ করেন তিনি।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, দুজকে অঞ্চলে পরিকল্পিত ভাবে লোডশেডিং চালানো হচ্ছে। তারা বাসিন্দাদের ভীত না হওয়ার উপদেশ দেয়।
তুরস্ক পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবল অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৯৯৯ সালে দুজকে প্রদেশে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ঘটনায় ইস্তাম্বুলের ১ হাজার বাসিন্দা সহ সারাদেশে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ মারা গেছিল।
২০২০ সালের জানুয়ারি ও নভেম্বরে ২টি ভূমিকম্প তুরস্কে আঘাত হানে এবং ১৫৫ জনেরও বেশি ব্যক্তি নিহত হন।
Comments