‘ঢাকার সমাবেশে খালেদা জিয়ার আসার বিষয় নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে সরকার’

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল মাঠে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশের অনুমোদন না দিলে বিকল্প হিসেবে মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি আমরা চাইনি। তারপরেও পুলিশ চিঠি দিয়েছে। আমরা বলেছি সেই জায়গাটা সম্পূর্ণভাবে অনিরাপদ। আমরা এর কারণগুলোও ব্যাখ্যা করেছি। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলেছি যে, পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আমরা অতীতেও সমাবেশ করেছি, খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেও অনেক মহাসমাবেশ করেছি। আমরা সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। এটা আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ। আমাদের প্রতিনিধিদল পুলিশের কমিশনার ও আইজিপির সঙ্গে দেখা করেছে। তারা বারবারই সেখানে করতে দেবেন না বা সেখানে করা যাবে না বলছেন।'

'বিকল্প হিসেবে আমরা পুলিশকে বলেছি, আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার বন্ধের দিন, মতিঝিলের আইডিয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে তাহলে সমাবেশ করব। এর আশেপাশেও অনেক মাঠ আছে। সুতরাং আমরা সেখানে করতে পারি। আপনারা এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করেন। এরপরেও তারা বিভিন্নভাবে বলছেন যে, রাজপথে তারা আমাদের সমাবেশ করতে দেবে না। কিন্তু, এ ছাড়া আশেপাশে তো আর উন্মুক্ত কোনো স্থান নেই। আমরা বলেছি যে, এখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারব। এখনো তারা কিছু জানায়নি। আমরা অপেক্ষায় আছি।'

শেষ পর্যন্ত যদি সোহরাওয়ার্দীতেই সমাবেশ করতে বলে পুলিশ, তখন বিএনপি কী করবে, জানতে চাইলে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, 'আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছি যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা সমাবেশ করব না। যদি পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে না করি, তাহলে আইডিয়াল স্কুলের মাঠে করব, সেটা তাদেরকে জানিয়েছি এবং এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।'

সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যাবেন, বক্তৃতা দেবেন, এ বিষয়টি সামনে এসেছে। কীভাবে তা সামনে এলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের আগের ৯টা সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এবারও তিনিই থাকবেন। খালেদা জিয়া আসবেন, সেটা আমরা কখনো বলিনি। সুতরাং এটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।'

'খালেদা জিয়া বাসায় অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বেশ অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তিনি হাসপাতালে আসা-যাওয়া করলেও পুলিশি পাহারায় যেতে হয়। এখন পর্যন্ত তিনি বিএনপি কার্যালয়ে আসেননি, গুলশানে নিজ কার্যালয়ে যাননি। তাহলে তার আসার কথা বলে যে ষড়যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে, এটা তো একটা প্রোপাগান্ডা। এতেই বোঝা যায় যে, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্দেশ্য আছে। সুতরাং এ বিষয়টি কোনোভাবেই সামনে আনা যাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

1h ago