ছবির সঙ্গে মন রাঙাতে ৫ অনলাইন কালারিং পেজ

ছবি: সংগৃহীত

বড় হয়ে সবাই আঁকিয়ে না হলেও ছোটবেলা ঘরের দেয়ালে, বইয়ের পাতায়, আঁকার খাতায় আঁকিবুকি করেন সবাই। সবচেয়ে ভালো লাগে বইয়ের মাঝে থাকা সাদাকালো ছবিগুলোতে রং চড়াতে, ইচ্ছেমতো তাদের ভেবে নিতে রঙিন সব পোশাকে-আশাকে। রংহীন আল্পনায় নিজের মতো করে লাল-নীল দীপাবলি সাজিয়ে তোলার সঙ্গে মনের আনন্দের কোথাও একটা যোগাযোগ থেকে যায়।

আঁকিয়ে হোন বা না হোন, বড় হয়েও ছোটবেলার সেই রঙিন কারুকাজ ভোলা যায় না। কাগজে-কলমে না হলেও মুঠোফোনের পর্দায় চাইলেই এই ৫টি মাধ্যম ব্যবহার করে ছেলেবেলার নস্টালজিয়া জাগানোর পাশাপাশি অবসরে নিজের ও প্রিয়জনদের মন রঙিন করে তুলতে পারেন। সঙ্গে মনকে দিতে পারেন প্রশান্তি।

থেরাপিউটিক কালারিং বুক

এটি অনলাইনে ডাউনলোড করা যায়। এমন পিডিএফ ফরম্যাটে পাওয়া যাচ্ছে, যেটি চাইলে প্রিন্ট করিয়ে নেওয়া যাবে। ছবি আঁকা, এমনকি আগে থেকেই আঁকা ছবিতে রং করাও যে এক ধরনের থেরাপির মতোই এবং এতে মানসিক চাপ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায়– তারই প্রমাণ মিলবে এই বইটির পাতায় পাতায় রং জুড়ে যেতে থাকলে। ৩৫ পৃষ্ঠার এই পিডিএফ পাওয়া যাবে 'মাইন্ড রিমেক প্রজেক্ট' ওয়েবসাইটে।

 

 

কালারিং অনলাইন

এই ওয়েবসাইটে গেলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী পছন্দের ছবিটি বেছে নেওয়া যাবে। ম্যান্ডালা আর্ট, পশুপাখির ছবি, ঘরবাড়ির নকশা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য আলাদা করে দেওয়া আছে। প্রতিটি তালিকাতেই মোটামুটি ২০টি বা ক্ষেত্রবিশেষে তার চেয়েও বেশি ছবি দেওয়া আছে। প্লাস চিহ্নের মতো কার্সরের সাহায্যে রঙের বাক্স থেকে ইচ্ছেমতো রং বেছে নিয়ে সেসব ছবির বিভিন্ন অংশ রাঙিয়ে দেওয়া যায় এবং ছবিগুলো সেভ ও কোলাজের অপশনও পাওয়া যাবে। চাইলে নিজের রাঙানো ছবি দিয়ে তৈরি করতে পারেন পোস্টার।

ফেবার-কেসেল

বহু বছর ধরেই আঁকিবুকির জগতে আমাদের কাছে এক পরিচিত নাম 'ফেবার-কেসেল'। নিজেদের পণ্যের সঙ্গে মিল রাখতে তাদের ওয়েবসাইটে ছোটবড় সবার জন্যই দারুণ কালারিং পেজ তৈরি করা হয়েছে। ম্যান্ডালা, ক্রিয়েটিং হ্যাভেন স্যাম্পল পেজ, হলিডে থিমের ছবি– সবই আছে এখানে। ইচ্ছেমতো ছবি পছন্দ করে, তাতে রং দিয়ে অবসর সময়টা কাটিয়ে দেওয়া যাবে।

গুগল'স আর্ট অ্যান্ড কালচার

শুধু সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে নয়, গুগল তার ডালপালা বিস্তার করেছে সর্বত্রই। গুগলের আছে নিজস্ব অনলাইন কালারিং টুলও। বিখ্যাত সব চিত্রকর্মকে চাইলে নিজের মতো করে রং করা যাবে 'গুগল'স আর্ট অ্যান্ড কালচার' সেকশনে গিয়ে। এমনকি বিভিন্ন স্ট্রিট ভিউ রং করার বিশেষ সুযোগ আছে শুধু গুগলের কালারিং পেজেই। ভ্যান গগ বা স্ট্যাচু অব লিবার্টির পুনর্নকশার ইচ্ছে থাকলে এই তো সুযোগ। রং করা ছাড়াও এসব শিল্পকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগও আছে এখানে, গুগল বলে কথা!

জাস্ট কালার

১৫০০ কালারিং পেজ নিয়ে 'জাস্ট কালার' একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ কালারিং ওয়েবসাইট। এতগুলো পেজ থাকা সত্ত্বেও এতে বাড়তি কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হয় না। থিম, জনপ্রিয়তা, চিত্রকর্মের স্টাইল ও শিল্পীসহ অত্যন্ত নিখুঁত ক্যাটাগরি তৈরি করে দেওয়া হয় এখানে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা নিয়মিতই এ ওয়েবসাইটে তাদের চিত্রকর্ম আপলোড করে যাচ্ছেন। তাই মৌলিক সব নকশার মধ্যে নিজের মনের মাধুরী মেশাতে চাইলে এই ওয়েবসাইটে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।

মানসিক প্রশান্তিতে কালারিং পেজ

বিক্ষিপ্ত মনকে এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত করতে মেডিটেশন করা হয়। ছবি আঁকা বা রং করার সময়ও কিন্তু চোখের দৃষ্টি ও মনোযোগ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিবদ্ধ থাকে। তাই এটি এক রকম মেডিটেশনের ভূমিকা পালন করে। 'শিল্পের উদ্দেশ্যই হচ্ছে প্রশান্তি দান'। ব্যস্ততার জীবনে যেকোনোভাবেই শিল্পের কিছুটা কাছাকাছি থাকলেও মন প্রশান্ত হয়, কমে বাড়তি চাপ। সমস্যার সমাধান না হলেও সেসব সমাধানের পথে এগোনোর মানসিক শক্তিটা পাওয়া সম্ভব হয় শিল্পের সংস্পর্শে থেকে। তাই কালারিং পেজে ঘুরে বেড়ানোর মতো খুব সহজ ও আপাতদৃষ্টিতে অহেতুক কাজকর্মে কিছুটা সময় ব্যয় করে নিজেকে সাহায্য করাটা খুব দরকার হয়ে পড়ে।

তথ্যসূত্র:

 https://mindremakeproject.org/2021/01/12/free-coloring-pages-for-adults/

https://www.makeuseof.com/best-coloring-pages-for-adults/

https://www.colorpsychology.org/benefits-of-coloring-pages-for-kids/

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials call off shutdown after government warning

Officials of the National Board of Revenue have decided to withdraw their nationwide shutdown in view of the broader interests of trade and commerce.

2h ago