যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার প্রস্তাব বাতিলে ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গত ১৬ অক্টোবরের বৈঠক। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্রাজিলের আনা খসড়া প্রস্তাবের ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ দেশ ব্রাজিলের নেতৃত্বাধীন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভোটদান থেকে বিরত ছিল রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য।

নিয়ম অনুযায়ী, পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে যেকোনো একটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে সেই প্রস্তাব পাস হয় না। স্থায়ী সদস্য দেশগুলো হলো—চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে তোলা ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেছে, এই সংকট মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদ এখন প্রতিক্রিয়া জানালে তা খুবই তাড়াতাড়ি হবে। অর্থাৎ তাদের ভাষ্য, এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো যথাযথ সময় এখনো আসেনি।

সোমবার সন্ধ্যায় রাশিয়া-সমর্থিত একটি খসড়া প্রত্যাখ্যানের পর ইসরায়েল-গাজা সংকট সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়নও ব্যর্থ হয়।

ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্র-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ফ্রান্স আজ এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে, যা সম্ভবত সাধারণ নীতি বিষয়ে কাউন্সিলকে একত্রিত করবে এবং এতে ১২ দেশের সমর্থন রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলে হামাসের হামলা নিন্দা, জিম্মিদের মুক্তির দাবি, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা, মানবিক বিরতি এবং গাজায় জাতিসংঘ, আইসিআরসি ও মানবিক সংস্থাগুলোকে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার জরুরিভাবে নিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা সেখানে যথাযথ সহায়তা দিতে পারে।

খসড়া রেজ্যুলেশনে নিরাপদ ও স্বীকৃত সীমানার মধ্যে পাশাপাশি বসবাসকারী দুই রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা রোধে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্রাজিলকে তাদের উদ্যোগ ও সমন্বয়কারী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানায় ফ্রান্স। মানবিক জরুরি অবস্থা মোকাবিলা ও আঞ্চলিক সংঘাত এড়াতে ফ্রান্স অংশীদারদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবে। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনিদের জন্য অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো মানবিক সহায়তা তারা দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago