মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ডিজেল পরিবহন হবে সাগরের পাইপলাইন দিয়ে

সাগরে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্পের মুরিং। সাগরের তলদেশে স্থাপিত জ্বালানি তেলের পাইপলাইন দুটি এই মুরিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সাগরের তলদেশে স্থাপিত পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল পরিবহন শুরু হচ্ছে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাম্প করে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এর মধ্য দিয়ে 'সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপ লাইন' প্রকল্পটির কার্যক্রম পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে।

প্রকল্পটির পরিচালক শরীফ হাসনাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতে আমদানিকৃত ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল বড় জাহাজ থেকে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালে খালাস করা হয়। দীর্ঘদিন এই স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ডিজেল পাম্প করার পরিকল্পনা হয়েছে।

ইস্টার্ন রিফাইনারির কর্মকর্তারা জানান, সাগরে ভাসমান মুরিং থেকে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দুইটি পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালে ডিজেল এবং ক্রুড অয়েল পরিবহন হয়েছে গত ডিসেম্বরে। মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ৯৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে অপর দুইটি পাইপলাইন পৌঁছেছে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। এই ৯৪ কিলোমিটার পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে সবসময় ১২ হাজার মেট্রিক টন তেল লাইনে থেকে যাবে।

কর্মকর্তারা আরও জানান, মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাম্প করে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠাতে সময় লাগবে প্রায় ১৭ ঘণ্টা। প্রথমবারের মতো এই পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল পরিবহন করা হচ্ছে। তাই সতর্কতার জন্য ধীরে ধীরে পাম্প করা হবে। তবে এই লাইনে পরিবহন ক্ষমতা প্রতি ঘণ্টায় ৯০০ ঘন মিটার।

এ প্রসঙ্গে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পরিকল্পনরা অনুযায়ী ডিজেল পরিবহন শুরু হলে এসপিএম প্রকল্পটি সফলতা পাবে। এরপর অপর পাইপলাইন দিয়ে ক্রুড অয়েল পরিবহন করা হবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুইটি পাইপলাইনের এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিপিসি, বাংলাদেশ সরকার এবং চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গর থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত লাইটার জাহাজের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহন কমে যাবে। এতে করে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

5h ago