এমভি আব্দুল্লাহ

মজুদ কমায় বাইরে থেকে খাবার আনছে জলদস্যুরা

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর খাবারের মজুদ কমে আসায় বাইরে থেকে খাবার আনা শুরু করেছে জলদস্যুরা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, জলদস্যুরা সম্প্রতি জাহাজের বাইরে থেকে খাবার আনছে এরকম খবর তারা পেয়েছেন।

এদিকে আটক জাহাজ এবং জিম্মি ২৩ নাবিককে দ্রুত উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা আক্রমণ করার সময় জাহাজটিতে ২৫ দিনের খাবারের মজুদ ছিল বলে আগে জানিয়েছিল মালিক পক্ষ।

অ্যাসোসিয়েশনের ওই নেতা জানান, যেহেতু জলদস্যুরাও শুরু থেকে নাবিকদের সঙ্গে এই খাবার খাচ্ছে, তাই জাহাজের মজুদ এতদিনে কমে আসার কথা।

যোগাযোগ করা হলে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জলদস্যুরা তাদের নিজেদের জন্য বাইরে থেকে খাবার এনেছে বলে তারা জেনেছেন।

তবে জাহাজে নাবিকদের খাবার এখনও ফুরিয়ে যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'জাহাজে একটা সুনির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারের মজুদ থাকে, যা অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়। আর খাবার কমে এলে জলদস্যুরাই সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।'

তিনি জানান, মালিকপক্ষ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যত দ্রুত সম্ভব জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালিক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আশা করছেন আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। সেই লক্ষ্যেই সব পক্ষ মিলে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

গত কয়েকদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি নাবিকদের অতি দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আশাবাদী।

তিনি আরও বলেছেন, গত বার এমভি জাহান মনির জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। তবে এবার এত সময় লাগবে না।

মালিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাও সম্প্রতি নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক ইফতারে দেখা করেন। যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh’s human rights situation stable, but concerns remain: US State Dept report

It also highlights severe curbs on free speech, media, labor rights, and child protection, including violence, censorship, and unjustified arrests

58m ago