নাইট শিফটে কাজের সময় যা মেনে চলা উচিত

প্রতীকী ছবি

কিছু পেশা আছে যেসব পেশায় নাইট শিফটে কাজ করতেই হয়। ডাক্তার, সাংবাদিকতা, কারখানা, সিকিউরিটি, পুলিশ, ফ্রিল্যান্সিংসহ এমন কিছু পেশা আছে, যেখানে রাতে কাজ করতে হয়।

অনেকে আবার রাতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করেন, রোস্টার বেসিসে ডিউটি করেন অনেকেই। 

রাত জাগতে আপনি যদি অভ্যস্ত হন বা অসুবিধা মনে না হয়, তবুও এর বেশ কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে, যাকে বলা হয় শিফট ওয়ার্ক স্লিপ ডিসঅর্ডার।

প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী, দিনে কাজ আর রাতে ঘুম—এভাবেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু পেশার খাতিরে অনেককেই নাইট শিফটে কাজ করতে হয়। 

তবে, একটু সচেতন থাকলেই সেই সমস্যা বা অসুবিধাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

নাইট শিফট হয়ত এড়ানো যাবে না, কিন্তু এর কারণে অসুস্থতাকে এড়ানো যায় খুব সহজেই।

নাইট শিফটের কর্মজীবীদের জন্য দারুণ কিছু টিপস থাকছে আজকের ফিচারে। চলুন জেনে নেই সেগুলো।

শিফট শুরু হওয়ার আগে ঘুমিয়ে নিন   

নাইট শিফটের জন্য রাতে জাগতে হয়, আর দিনে ঘুমাতে হয়। এর ফলে বায়োলজিক্যাল ঘড়ির বারোটা বাজে, ঘুম হয় অপর্যাপ্ত। সেই ঘুমের ঘাটতি মিটিয়ে নিতে শিফট শুরু হওয়ার আগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন।

যদি শিফট শুরু হয় রাত ৮টায়, তাহলে অফিস যাওয়ার আগে ঘুম বাঞ্ছনীয়। ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে তারপর তৈরি হন অফিসের জন্য।

কাজ থেকে ফিরেই ঘুম নয়

মনে রাখতে হবে নাইট শিফটে কাজের ক্লান্তি বেশি বোধ হয়। দিনে কাজের পরিশ্রম যতই হোক না কেন, নাইট শিফটে পরিশ্রম অনেক বেশী। কারণ এতে মানসিক ক্লান্তির সঙ্গে থাকে শারীরিক ক্লান্তিও। তাই বাড়ি ফিরে যদি সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন, তবে ক্লান্তিবোধ ততটা কাটবে না। তাই বাড়ি ফিরে পছন্দের কাজ করুন। বই পড়া, গান শোনা, পছন্দের খাবার খাওয়া। বেশ কিছুটা সময় রিল্যাক্স করে, তারপর ঘুমাতে যান ৷

কফি, কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া বাদ দিন

রাতে জেগে থাকতে হবে এজন্য অনেকেই ঘন ঘন চা, কফি খেয়ে থাকেন। শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে এগুলো। তাই নাইট শিফটে কাজের ফাঁকে ঘুম পেলে ব্রেক নিন, হেঁটে আসুন। কিন্তু কফি বা কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে শরীরের বারোটা বাজাবেন না।

খেতে হবে পরিমিত

রাতে কাজ করতে করতে অনেকেই কিছু খেতে ভালবাসেন। খিদে না পেলেও হালকা কিছু খেতে ইচ্ছে করে এ সময়। কিন্তু, এ পথে হাঁটা ঠিক নয়। কারণ, অসময়ে খাওয়া ফ্যাট বাড়ায়। শুধু তাই নয়, ভরপেট খেলে ঘুমও বেশি পায়।

খুব বেশি খিদে পেলে খেতে পারেন প্রোটিন জাতীয় খাবার৷ ডিম, পনির বা পি-নাট বাটার জাতীয় খাবার অল্পে পেট ভরাবে, কিন্তু শক্তি দেবে বেশি, আবার ঘুমও আসবে না সহজে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

সপ্তাহের যতদিনই নাইট শিফটে কাজ করুন না কেন, দিনের বেলায় নিয়ম করে ব্যায়াম করুন বা জিমে যান। শরীরচর্চা আপনাকে ফিট ও সতেজ রাখবে। ব্যায়ামের আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। ফল, প্রোটিন বার বা বিস্কুট জাতীয় খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেবে।

কাজের ফাঁকে বিরতি নিন

একটানা অনেকক্ষণ কাজ করলে শরীর ও মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই কাজের মাঝে বিরতি নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন বা নিজের মতো করে একটু সময় কাটান। অফিসের মধ্যেই একটু হেঁটে নিতে পারেন। ১০ মিনিটের ছোট্ট বিরতি নিয়ে গান শুনতে পারেন। 

আর অনলাইনভিত্তিক কাজ হলে, মাঝে মাঝে ৫ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। কারণ একটানা স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে মাথাব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে। 

তথ্যসূত্র:
https://www.usa.edu/blog/how-to-work-night-shift-and-stay-healthy/
https://www.medicalnewstoday.com/articles/319918

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

9h ago