ঘরেই বানিয়ে ফেলুন থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস

এখন তো পাকা আমের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। তাই দেরি না করে বানিয়ে ফেলুন এই স্টিকি রাইস।
ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস
ছবি: সংগৃহীত

আপনার যেসব বন্ধুরা থাইল্যান্ডের বেড়াতে গেছেন তাদের মুখে একটা খাবারের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। অথবা আপনি যদি থাইল্যান্ড থেকে ঘুরে আসেন তবে একটি খাবার আপনি অবশ্যই মিস করবেন। বলছি ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইসের কথা।

তবে আজকের রেসিপিটি ফলো করলে আপনাকে আর টিকিট কেটে থাইল্যান্ড যেতে হবে না! বাসাতেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন মজাদার, হালকা মিষ্টি ও খানিকটা নোনতা স্বাদের ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস। আর এখন তো পাকা আমের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। তাই দেরি না করে বানিয়ে ফেলুন এই স্টিকি রাইস।

এই খাবারটি বানাতে লাগবে গ্লুটিনাস রাইস অথবা বিন্নি চাল। বাংলাদেশে বিন্নি চাল সহজলভ্য। প্রথমে এক কাপ বিন্নি চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে ঘণ্টাখানেক। ভেজানো চাল পাতিলে স্টিম করে নিতে হবে আধা ঘণ্টা।

চালগুলো স্টিম হতে হতে বানিয়ে নেবেন নারকেলের সস। নারকেলের দুধ নিতে হবে দুই কাপ পরিমাণ। নারকেল বেটে দুধ বের করে নেওয়া যার। তবে এ কাজটা বেশি ঝামেলা মনে হলে সুপার শপ থেকে নারকেলের দুধ কিনে নিতে পারেন।

একটি ফ্রাই প্যানে দুই কাপ নারকেলের দুধ, আধা কাপ চিনি, আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে জ্বাল করে নিতে হবে। চাইলে পছন্দ অনুযায়ী চিনি কম-বেশি করে নিতে পারেন। একটু ঘন হয়ে আসলে সেখান থেকে এক কাপ পরিমাণ নারকেলের সস সরিয়ে আলাদা রাখুন।

এবার প্যানে থাকা সেই নারকেলের দুধে আগে থেকে স্টিম করে রাখা বিন্নি চালের ভাতগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে রেখে দিন ১৫-২০ মিনিট। চুলাটা সেসময় কিন্তু বন্ধই থাকবে। এই সময়ে বিন্নি চালের ভাতগুলো সুন্দরভাবে নারকেলের দুধের সসের সঙ্গে মিশে মাখামাখা একটা ভাব আসবে। আর এতে করে স্টিকি রাইসের স্বাদ বেড়ে যাবে বহু গুণ।

এবার পরিবেশনের পালা। একটা ঠান্ডা পাকা আম খোসা ছাড়িয়ে স্লাইস করে কেটে নিতে হবে। একটা প্লেটে নারকেলের দুধ মাখানো স্টিকি রাইস দিয়ে চারপাশে আমের স্লাইসগুলো সাজিয়ে নিতে হবে। স্টিকি রাইসের ওপর আগে থেকে তুলে রাখা নারকেলের সস ও ভাজা তিল দিয়ে পরিবেশন করুন।

যে পরিমাণ এখানে বলা হয়েছে, তা দিয়ে তিনজন খাওয়া যাবে অনায়াসে।

 

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago