হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কুয়েটে বিক্ষোভ

মিছিল শুরুর প্রাক্কালে। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ডক্টর এস এম রশিদ হল, শহীদ স্মৃতি হল, ফজলুল হক হল, একুশে হল, খান জাহান আলী হলসহ বিভিন্ন হলের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়াল সেন্টারে এসে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতির কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ছাত্র রাজনীতির দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, বিএনপির দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, শিক্ষা-সন্ত্রাস একসাথে চলে নাসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, হামলার ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে এখনো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে আমরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছি। আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে হামলার দৃশ্যগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হলো না। আমরা আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষাক্রমে ফিরে যেতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যেন আমাদের এই সমস্যাটা সমাধান করে দেন।'

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সদস্য ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরে স্থানীয় কিছু বহিরাগত এই হামলায় অংশ নেয়।

ওই রাতে রাতে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

বুধবার বেলা একটার মধ্যে দাবি পূরণের সময় বেঁধে দেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েটের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে বুধবার রাতে খান জাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি 'পুরোপুরি মেনে না নেওয়ার' কথা বলে উপাচার্যকে বর্জনের ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

পাশাপাশি সহ-উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককেও বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

6h ago