মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৭১৯, জরুরি ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি

মান্দালয় রাজ্যে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয়ের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারে গত শুক্রবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৯ জন নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের পর থেকে এখনো অন্তত ৪৪১ জন নিখোঁজ আছেন।

দেশটির সামরিক জান্তা প্রধানের বরাতে আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

ভূমিকম্পে মান্দালয় রাজ্যের অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে পড়েছ্রে। ছবি: এএফপি

গত শুক্রবার দুপুরে মান্দালয় রাজ্যে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় ৯১ ঘণ্টা পর আজ সকালে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের বরাতে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে ৬৩ বছর বয়সী এক নারীকে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং জানান, ভূমিকম্পে অন্তত ৪ হাজার ৫২১ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের ৯৬ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের ভেতরে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। তবে উদ্ধার তৎপরতা চলমান আছে।

নিহতদের স্মরণে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মিয়ানমারে পুরো দেশজুড়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে।

বিবিসির বার্মিজ সার্ভিস মান্দালয় শহর থেকে ধ্বংসস্তূপের ছবি সংগ্রহ করছে।

এদিকে, একই ভূমিকম্পে পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাংককে মোট ১৪ জন এবং থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন মারা গেছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা মিয়ানমারে সুপেয় পানির ঘাটতি নিয়ে সতর্ক করেছে এবং কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।

সেখানে ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ জুলিয়া রিস এক ভিডিওবার্তায় বলেন, 'সত্যিই ভয়াবহ অবস্থা। সবচেয়ে বেশি জরুরি প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। বাইরে প্রচণ্ড গরম। পানির পাইপ ও ট্যাংকগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago