গাজীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারাব গ্রামে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত রুবেল মিয়ার (৩২) পরিবারের অভিযোগ, বিএনপি নেতারা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত রুবেল বারাব গ্রামের বাসিন্দা ও দুই নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুবেল মারা যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

রুবেলের স্ত্রী ফারজানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ১২-১৪ জন বিএনপি নেতাকর্মী বাড়িতে ঢুকে তার স্বামী রুবেলকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে হামলাকারীরা বলেন, তোর স্বামী আওয়ামী লীগ করে, এই জন্য মাইরা ফেলব।

ফারজানা আরও বলেন, 'তাদের পায়ে ধরছি, কিন্তু আমার কথা শুনে নাই। আমার স্বামীর কোনো দোষ নাই। শুধু আওয়ামী লীগ করে বলে আমার স্বামীকে তারা মাইরা ফেলাইছে। আমাদের চোখের সামনে স্বামীর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হইছে।'

তিনি দাবি করেন, অভাবের কারণে তিন দিন পর হাসপাতালে নিলে গত শুক্রবার রাতে রুবেল মারা যায়।

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে কাপাসিয়া থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন রুবেলের মা ফাতেমা বেগম।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—তানভীর (২৫), মাহমুদুল (২২), মতিউর রহমান (৩০), সাব্বির (৬০), হাসান (১৯), জুনায়েদ (১৮), রাজীব (১৮), জুলহাস (২৫), আল আমিন (২০), তাইজুদ্দিন (৫০), মোছাদ্দেক (৩৫) ও জিহাদ হোসেন মুন্না।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, শত্রুতার জেরে গত ২২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে হামলাকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে রুবেলের বাড়িতে হামলা করে। ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এসময় বাধা দিলে আসামিরা রুবেলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কাপাসিয়া উপজেলা সভাপতি মোশাররফ হোসেন মাঝি ডেইলি স্টারকে জানান, আসামি তাজুউদ্দীন কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি। তিনি আমাকে ফোন করে বলছেন, এলাকায় একটা মামলার ঝামেলায় পড়ে গেছে। আমার মিটিং থাকায় বিস্তারিত জানতে পারিনি।

ওই এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রুবেল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে মারধর করছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেব।

গত শুক্রবার সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে মারা যান রুবেল।

আজ দুপুরে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আবদুল বারিক ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল হত্যা মামলার পর এজাহারভুক্ত আসামি জিহাদ হোসেন মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মামলার আাসামি তাইজুদ্দিন উপজেলার বারিষাব ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বলে জানান তিনি।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
problems in filing complaints in police stations

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

2h ago