আরও ৫ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর অনুমতি পেল ইসি

নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা

যুক্তরাষ্ট্রসহ নতুন আরও পাঁচটি দেশে বাংলাদেশি ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'নতুন করে ৮ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মালদ্বীপ, জর্ডান, দক্ষিণ-আফ্রিকা, ওমান- এ পাঁচ দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি পেয়েছি।'

প্রবাসীদের জন্য নির্বাচন কমিশন ৪০টি দেশে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। ইসি কর্মকর্তারা জানান, এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে বর্তমানে ৯টি দেশের (সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা) ১৬টি স্টেশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন ও ভোটার করার কার্যক্রম চলমান।

জাপানে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কার্যক্রম শুরু করার সম্মতি দেওয়ায় আগামী ১৫ জুলাই এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। এসব দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি-বায়রাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে, ৪০টি দেশে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আধিক্য রয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রবাসী রয়েছেন সৌদি আরবে, ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। আর সবচেয়ে কম রয়েছেন নিউজিল্যান্ডে, দুই হাজার ৫০০ জন।

ইসির তৈরি সবশেষ প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নয়টি দেশ থেকে নিবন্ধনের আবেদন পড়েছে ৪৭ হাজার ৩৮০টি। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে তিন হাজার ৬৯২টি আবেদন।

কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনে ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

4h ago