প্রাপ্য স্বীকৃতি পান না সিরাজ, মনে করেন শচীন

ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে মোহাম্মদ সিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত। বল হাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের সুবাদে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছেন ভারতের এই ডানহাতি পেসার। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, প্রাপ্য স্বীকৃতি পান না সিরাজ।
২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ওভালে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে নেমেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটার হ্যারি ব্রুক ও জো রুটের সেঞ্চুরিতে হারের শঙ্কা জোরেশোরে উঁকি দিচ্ছিল তাদের সামনে। কিন্তু এরপর সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ গতি আর সুইং দিয়ে জ্বলে ওঠায় পাল্টে যায় ম্যাচের মোড়। তাদের নৈপুণ্যে গত সোমবার শেষদিনে ৬ রানের নাটকীয় জয় পায় সফরকারীরা। ফলে ২-২ ব্যবধানে ড্র হয় পাঁচ ম্যাচের রোমাঞ্চকর সিরিজ।
দুই দলের একমাত্র বোলার হিসেবে পাঁচটি টেস্টেই খেলেন সিরাজ। গোটা সিরিজে তিনি বল করেন ১ হাজার ১১৩টি, যা তার নিকটতম বোলারের চেয়ে ৩৬১টি বেশি। ২৩টি উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশিকারিদের তালিকায় শীর্ষে। জাসপ্রিত বুমরাহ দুটি টেস্ট না খেলায় ভারতের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব তাকেই দিতে হয়।
সিরাজের প্রশংসায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিটে শচীন বলেছেন, 'অবিশ্বাস্য। অসাধারণ অ্যাপ্রোচ। আমি ওর মানসিকতা খুব পছন্দ করি। ওর পায়ে যেন ঝরঝরে স্প্রিং লাগানো আছে। একজন বোলার যদি একটানা সামনে এসে চাপ সৃষ্টি করে, কোনো ব্যাটারই সেটা পছন্দ করবে না। আর শেষ দিন পর্যন্ত ওর যে অ্যাপ্রোচ ছিল... আমি শুনেছিলাম, ধারাভাষ্যকাররাও বলছিলেন যে, সিরাজ ১ হাজারের বেশি বল করার পরও শেষদিনে ঘন্টায় ৯০ মাইল (প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার) গতিতে বল করেছে। এটা ওর সাহস ও বড় হৃদয়ের পরিচয় দেয়।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ১০০টি সেঞ্চুরির মালিক সাবেক এই তারকা যোগ করেছেন, 'শেষ দিনে ও যেভাবে বোলিং শুরু করেছিল, সেটা ছিল অসাধারণ। ও সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের জন্য পারফর্ম করে। যখনই আমাদের নকআউট পাঞ্চ দরকার হয়, সিরাজ সেটা দিতে পারে। অতীতেও সেটা ধারাবাহিকভাবে করেছে, এবারের সিরিজেও করেছে। ও যেভাবে এতগুলো উইকেট নিয়েছে এবং পারফর্ম করেছে, তাতে আমার মনে হয়, ওর যতটা প্রাপ্য, ততটা স্বীকৃতি ও পায় না।'
চরম উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজটির শেষদিনে সিরাজের বলে গাস অ্যাটকিনসন বোল্ড হলে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায়। ৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দলটি থামে ৩৬৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানে ৪ উইকেট নেওয়া সিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট পান ১০৪ রানে। ভারতকে সমতায় ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় অবধারিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে।
Comments