দল বিশ্লেষণ : রাশিয়ায় নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা দেখছে স্পেন

spain
স্পেন ফুটবল দল। ছবি : রয়টার্স

আর মাত্র ৮ দিন পর রাশিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এরমধ্যেই ফুটবল উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে ভক্তদের মধ্যে। উত্তেজনার পারদ দিন দিন বাড়ছেই। পছন্দের দলগুলো কিংবা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো কেমন করবে এ নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। আজ স্পেনের স্কোয়াড, বিশ্বকাপে তাদের সম্ভাবনা থেকে শুরু করে শক্তি-দুর্বলতার দিকগুলো তুলে ধরা হলো-

ডাকনাম : লা রোহা।

কোচ : জুলেন লোপেতেগি।

অধিনায়ক : সের্জিও রামোস।

র‍্যাংকিং : ৮।

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ : ১৪ বার।

সেরা সাফল্য : চ্যাম্পিয়ন- ২০১০।

যেভাবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে এসেছে?

ইতালি, আলবেনিয়া, ইসরাইল, লিচেনস্টেইন ও মেসিডোনিয়াকে নিয়ে বাছাই পর্বের ‘জি’ গ্রুপে খেলেছিলো স্পেন। আর খেলেও দুর্দান্ত। নয়টি জয় ও একটি ড্র নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিশ্বকাপে নাম লেখায় দলটি। মোট ৩৬টি গোল দেয় তারা। আর গোল খেয়েছে মাত্র ৩টি। সবচেয়ে বড় কথা বেশ গোছানো ফুটবল খেলেছে দলটি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বিশ্বকাপে দারুণ কিছুই আশা করা যায় রামোস-ইনিয়েস্তাদের কাছ থেকে।

সূচি :

১৫ জুন: পর্তুগাল

২০ জুন: ইরান

২৫ জুন: মরক্কো

স্কোয়াড :

গোলরক্ষক : দাভিদ দি গিয়া, পেপে রেইনা, কেপা আরিসাবালাগা।

ডিফেন্ডার: জর্দি আলবা, চেসার আসপিলিকুয়েতা, দানি কারভাহাল, নাচো ফের্নান্দেস, নাচো মনরিয়াল, আলভারো অদ্রিয়োসোলা, সের্জিও রামোস, জেরার্দ পিকে।

মিডফিল্ডার : থিয়াগো আলকান্তারা, সের্জিও বুসকেৎস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ইসকো, কোকে, সাউল নিগেস, দাভিদ সিলভা।

ফরোয়ার্ড : মার্কো আসেনসিও, ইয়াগো আসপাস, দিয়েগো কস্তা, রোদ্রিগো মোরেনো, লুকাস ভাসকেস।

সম্ভাব্য একাদশ : (৪-৩-৩) দি গিয়া, আলবা, রামোস, পিকে, কারবাহাল, ইনিয়েস্তা, বুসকেৎস, সিলভা, আসেনসিও, কোস্তা, ইসকো।   

বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ :

গ্রুপ ‘বি’তে স্পেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। এ গ্রুপের বাকি দল দু’টি মরক্কো ও ইরান। তাই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার সমীকরণে মূল বাধা পর্তুগালই। তবে যে কোন সময় আপসেট ঘটাতে পারে মরক্কো। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ দল। রাশিয়া, মিশর সৌদি আরব এমনকি উরুগুয়েও হতে পারে শেষে ষোলোর সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ। কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ হতে পারে আর্জেন্টিনা। আর সেমিফাইনালে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে পেতে পারে দলটি। 

সেরা তারকা :

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা : বয়সটা ৩৪ পেরিয়েছে, তবে এখনও স্পেনের প্রাণ ভোমরা ইনিয়েস্তা। ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে তার গোলেই শিরোপায় চুমু খেয়েছিলো স্প্যানিশরা। জিতেছেন ২০০৮ ও ২০১২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। দলের এ অভিজ্ঞ কাণ্ডারির পা জোড়ার উপরই নির্ভর করছে স্প্যানিশদের আক্রমণ ভাগ। ১৬ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে ৩৪টি ট্রফি জিতেছেন এ তারকা। সদ্য বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়া এ তারকা এবারই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন।

দাভিদ দি গিয়া : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ গোলরক্ষক বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর গোলরক্ষক। হোসে মরিনহোর দলে এবারও বেশ দারুণ কিছু সেভ করেছেন। মুলত তার নৈপুণ্যে ইংলিশ লিগে এবার দ্বিতীয় হতে পেরেছে ম্যানইউ। এ ক্লাবের হয়ে ৩৫৯টি ম্যাচ খেলে ১১৯টি ক্লিন শিট রেখেছেন তিনি। গোলবারের নিচে তার বিশ্বস্ত হাতই স্পেনের নির্ভরতার প্রতীক।

ইসকো : ক্লাবের হয়ে জিনেদিন জিদানের আস্থা অর্জন করতে না পারলেও ইসকোকে স্প্যানিশ কোচ চিনেছেন খুব ভালো করেই। দারুণ ড্রিবলিং করবেন, বল নিয়ন্ত্রণও করেন চমৎকার। মাঝমাঠে যেমন কার্যকর, তেমনি উইঙ্গার হিসেবে। রিয়াল মাদ্রিদের এ তারকা হতে পারেন লোপেতেগির তুরুপের তাস।

শক্তি ও দুর্বলতা : ডিফেন্সে দারুণ শক্তিশালী স্পেন। অভিজ্ঞও বটে। দীর্ঘদিন ধরে রামোস ও পিকে সেন্ট্রাল ব্যাকের দায়িত্ব পালন করে আসায় তাদের মধ্যে রসায়নটাও দারুণ। এছাড়া লেফট ব্যাক ও রাইট ব্যাক হিসেবে আলবা ও কারবাহালও দুর্দান্ত। আর দলের মূল একাদশের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার। তাই খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়াটা চমৎকার। দলের বড় কোন দুর্বলতা নেই। আক্রমণভাগে অবশ্য আলভারো মোরাতা থাকলে শক্তিটা আরও বাড়ত। তারপরও আসেনসিও, কস্তা, ইসকোরা সেরাটা খেলতে পারলে রাশিয়া বিশ্বকাপ যেতে পারে স্পেনের ঘরেই।

 

Comments

The Daily Star  | English

The constitution: Reforms only after a strong consensus

Constitutional reforms should be done after taking people’s opinions into account, said Dr Kamal Hossain, one of the framers of the constitution.

3h ago