ডিক্টেটরস ডিলেমা, স্পিন ডিক্টেটর এবং জনতুষ্টিবাদ

সুষ্ঠু ভোটে জয় পেলে বেশকিছু আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপভোগ করে একটি দেশের সরকার। কিন্তু কারচুপি করা নির্বাচনে এসব দরকারি সামাজিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট আর্থিক সুবিধাগুলো হারায় স্বৈরশাসকরা। আবার অত্যধিক স্বচ্ছ নির্বাচন তাদের জন্য বড় জয় কঠিন করে তোলে। অল্প ব্যবধানের জয়ও তাদের মাঝে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক তৈরি করে। এই আতঙ্কটা স্বৈরশাসকদেরকে ক্রমাগত ভোট কারচুপির ওপর নির্ভরশীল করে রাখে।

স্বৈরশাসকেরা 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' বিষয়ে একটা অপ্রীতিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হন। প্রশ্নটা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আর্থিক সহযোগিতা এবং ভোট ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ রাখার মধ্যকার ভারসাম্য বিষয়ক।

সুষ্ঠু ভোটে জয় পেলে বেশকিছু আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপভোগ করে একটি দেশের সরকার। কিন্তু কারচুপি করা নির্বাচনে এসব দরকারি সামাজিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট আর্থিক সুবিধাগুলো হারায় স্বৈরশাসকরা।

আবার অত্যধিক স্বচ্ছ নির্বাচন তাদের জন্য বড় জয় কঠিন করে তোলে। অল্প ব্যবধানের জয়ও তাদের মাঝে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক তৈরি করে। এই আতঙ্কটা স্বৈরশাসকদেরকে ক্রমাগত ভোট কারচুপির ওপর নির্ভরশীল করে রাখে।

লেখক মাসাকি হিগাশিজিমা এর নাম দিয়েছেন 'ডিক্টেটরস ডিলেমা'। লেখকের মতে, আন্তর্জাতিক সাহায্যের সংযোগ হিসেবে সুশাসন এবং ভোট কারচুপির মধ্যে ক্রমাগত ভারসাম্য বজায় রেখেই চলতে হয় তাদের। ('দ্য ডিক্টেটর'স ডিলেমা এট দ্য ব্যালট বক্স'; মাসাকি হিগাশিজিমা, ২০২২)

বাংলাদেশের সরকারও কি এই পরিস্থিতিতে পড়ে যাচ্ছে? পরপর তিনটি ত্রুটিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের পরে প্রশ্নটা আলোচিত হতে পারে। যদিও একটা ভিন্নমত এমন আছে যে বিরোধীরা জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ ও অভিজ্ঞতাকে ২০২৪ সালে নতুন করে দেখতে দেয়নি। এতে কর্তৃত্ববাদী সরকার নির্বাচনে ওয়াকওভার পেয়েছে।

অর্থাৎ 'ডিক্টেটর ডিলেমা' থেকে পর্যাপ্ত রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে বিরোধীরা—এমন ধারণা আলোচনায় আছে। এ নিয়ে মার্কিন থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান উড্রো উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পলিসি অ্যানালিস্ট মাইকেল কুগেলম্যানও কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ সরকার ব্যাপকভাবে আমদানি বন্ধ করে, এমনকি দরকারি পণ্যে মাত্রাতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করে, বিভিন্ন স্তরের রেস্ট্রিকটিভ ডিউটি (আরডি) ইত্যাদি দিয়ে একদিকে রাজস্ব বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে আমদানি কমিয়ে বাণিজ্য ব্যবধান কমাচ্ছে।

এতে অর্থনীতিতে স্বআরোপিত মন্দা শুরু করেছে। এই মুহূর্তে সিগারেট ছাড়া বাংলাদেশের কনজিউমার মার্কেটের প্রায় সব পণ্য বিক্রয় কমেছে। সরকার এর মাধ্যমে রিজার্ভ ক্ষয় কমাচ্ছে বটে, তবে নতুন কর্ম তৈরির হার কমেছে, বেকারত্ব বেড়েছে এবং চাকরি ছাঁটাই গুরুতর পরিস্থিতিতে পড়েছে।

রাজনৈতিক টানাপড়েন এবং নির্বাচনী অনাস্থার এই সময়ে বিভিন্ন স্বল্প সুদের সহজ শর্তের ঋণ, দান-অনুদান এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। আমদানি-রপ্তানির ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও বৈদেশিক ঋণের দায় পরিশোধের চাপে সরকার আর্থিক ঘাটতি কমাতে পারছে না।

ডলার সংকট, বাছবিচারহীন বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প, উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয় ইত্যাদির যোগ যেমন আছে, তেমনি আছে 'ডিক্টেটর ডিলেমা'র সংযোগও। দেখা যাচ্ছে, সরকার রোহিঙ্গা বিষয়ে সাহায্য আগের তুলনায় কম পাচ্ছে, সামাজিক উন্নয়ন খাতে প্রাপ্ত সাহায্যেও ভাটা পড়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বহু প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে ডলার আসার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

এখন পর্যন্ত রপ্তানির ধারা ভালো থাকলেও কাঁচামাল ও মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানিতে সংকোচনের ফল ভোগ করতে যাচ্ছে আমাদের রপ্তানি খাত। তবে, অর্থনীতিকে মূল শক্তিটা দিচ্ছে রেমিট্যান্স ও কৃষি।

ডলার সংকটে কঠোর ঋণপত্র নিয়ন্ত্রণের ফলে বিগত বছরের (এপ্রিল-মার্চ, ভারতের অর্থবছরের হিসেবে) তুলনায় চলতি অর্থবছরে (এপ্রিল-জানুয়ারি) ভারত থেকে খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে ৯৩ শতাংশ, চিনি ৭০ শতাংশ।

অন্যদিকে, একই সময়ে আর্থিক অ্যাকাউন্টের ঘাটতি ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিস্তৃত হয়েছে, যা বছর হিসেবে আগের চেয়ে ৯ গুণ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর অর্থ হচ্ছে, সরকার 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' মেশিনারির বুভুক্ষ মুখগুলোকে, আমলাতন্ত্রকে উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপকতর খরচ যোগাতে পারবে না। এতে প্রশাসনের কর্তাদের বাড়তি আয়ের যোগ সংকুচিত হচ্ছে।

'ডিক্টেটরস ডিলেমা'র এই পরিস্থিতিকে কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো বোঝে এবং এটাকে পপুলার সাপোর্ট বাড়াতে ব্যবহার করে। এ সময় দেশে লোক দেখানো দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলে। একে ওকে ধরে, একটু বকুনি-পিটুনি দিয়ে পপুলিস্ট জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা হয়। এই বিষয়গুলোকে ডিক্টেটর হ্যান্ডবুক ম্যানুয়ালের 'কুক বুক অ্যাপ্রোচ' বা প্রতিষ্ঠিত চর্চা হিসেবে দেখা হয়।

অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে, সম্পদ বণ্টন কিছুটা ভালো করার মাধ্যমে স্বৈরশাসকরা জনসমর্থন জোগাড় করে। বাংলাদেশে এটা করা হয়েছে ব্যাংক ঋণের জামানত ব্যবস্থা শিথিল করে, ব্যাংক ঋণ সস্তা করে, ক্ষমতা বলয়ের লোকেদের ঋণখেলাপি হওয়ার সুযোগ দিয়ে।

এ সময় পর্যাপ্ত সহমত ভাই তৈরি হয় বলে নির্বাচনী জালিয়াতি সহজ হয়। বাংলাদেশে 'কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়ন' সুবিধা ব্যবহার করা হয়েছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, মাওয়া সড়ক ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি এখানে ছিল সংস্কৃতি রক্ষা, সংখ্যালঘু নিরাপত্তার বিকল্পহীনতার বয়ানও।

কিন্তু এখন যেহেতু ডলার সংকট এবং 'ফাইনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট'র কারণে নতুন মেগা প্রকল্প নিয়ে জনপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ক্ষুদার্থ হাঙ্গরদের উদরপূর্তি করতে পারবে না, তাই 'ডিক্টেটর হ্যান্ডবুক' মতে একে ওকে ধরে, দুর্বৃত্তদের হালকা বকা দিয়ে, কয়েকটা দিন জেলে ভরে প্রচুর বাহবা কমানোর জনতুষ্টিবাদী এজেন্ডা সামনে আসবে।

অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প—সরকার এসব নাম ব্যবহার করে ফেলেছে। হাতের প্রায় সব তাস শেষ বলে এখন সময় জনতুষ্টিবাদের।

২.

বিশ্বের দেশে দেশে স্বৈরশাসকদের আচরণ পরিবর্তন হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর বড় ব্যক্তিত্ব নির্ভর অত্যাচারী স্বৈরশাসকরা (ক্ল্যাসিক্যাল ডিক্টেটর) কঠোরভাবে রক্ষিত সীমানার মধ্যে রেখে মানুষের আচরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনও নিয়ন্ত্রণ করেছে। রক্তপিপাসা, ভয় এবং সন্ত্রাস ছিল তাদের সর্বাত্মক হাতিয়ার (ফিয়ার ডিক্টেটর)।

অন্যদিকে শতাব্দীর শেষের দিকে নতুন স্বৈরশাসকরা জনসংখ্যার ওপর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর টুলস এবং প্রসেস ডিজাইনে কাজ করেছে। নিজেদের গণতন্ত্রী ও সামাজিক দেখিয়েছে, বৈশ্বিক অভিজাতদের সঙ্গে সখ্যতা গড়েছে। কেউ কেউ পুরানো ভয়ভিত্তিক মডেলটিকে প্রতিস্থাপনের পরিবর্তে ডিজিটালাইজ করেছে।

বর্তমান স্বৈরশাসকরা কৌশলী শাসক, যারা জনগণের নম্র সেবক এবং উন্নয়নের ত্রাতা হওয়ার ভান করেন, কিছু মিডিয়া ও সিভিল সোসাইটি স্পেস দেন। যদিও কেন্দ্রীয় লক্ষ্য একই, রাজনৈতিক ক্ষমতা একচেটিয়া করা।

আজকের স্বৈরশাসকরা মনে করেন, বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া পরিস্থিতিতে সহিংসতা সবসময় প্রয়োজনীয় নয় বা এমনকি সহায়কও নয়। নাগরিকদের আতঙ্কিত করার পরিবর্তে বরং সম্মতি উৎপাদনে মন দেন তারা। সবসময় কঠোর দমনপীড়নের জায়গায় শুধু দরকারের সময় সংক্ষিপ্ত এবং কার্যকর দমনপীড়ন চালান। প্রতিষ্ঠানকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন।

নতুন ধারার স্বৈরশাসকরা স্মার্ট এবং তারা ব্যাপক তথ্য জালিয়াতি করেন। এরা স্পিন ডিক্টেটর। তারা ভিন্নমত ও বিরোধী দমনে প্রতিষ্ঠানকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, ডিজিটাল সার্ভেইলেন্স করে এবং তথ্যের ওপর সর্বেসর্বা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। একবিংশ শতাব্দীর স্পিন ডিক্টেটরদের শীর্ষ তিনটি কার্যকর টুল হচ্ছে এগুলো। ('স্পিন ডিক্টেটর' 'একবিংশ শতাব্দীতে একনায়কতন্ত্র কীভাবে টিকে থাকে?' সের্গেই গুরিভ এবং ড্যানিয়েল ট্রিসম্যান, ২০২২)

৩.

বাংলাদেশে ইদানিং পরিদর্শক, ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যাপক ক্ষমতার দাপট দেখা যাচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা তরমুজের দাম বেঁধে দিচ্ছেন, পুলিশ তরমুজ বিক্রি করে বাহবা নিচ্ছে। যদিও পুলিশের কাজ ছিল আড়তে, সড়কে ও দোকানে চাঁদাবাজি থামিয়ে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো।

ডলার সংকট, এলসি জটিলতা, বিভিন্ন স্তরে ডলারের বিনিময় হার কিংবা মুক্তবাজার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পর্যাপ্ত না জানলেও তারা পণ্যমূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। দেশে তথ্য ও দুর্নীতির খবর যেমন ম্যানিপুলেট করা যায়, তেমনি কর্মকর্তাদের জনতুষ্টিবাদী ঔদ্ধত্যও বেশ বাহবা পায়। এখানে মনোপলি ও সিন্ডিকেট ঠেকানোয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক ভূমিকা নেই।

আমদানিতে অতি উচ্চ কর-ভ্যাট-শুল্ক নিয়েও প্রতিবাদ নেই। চাঁদাবাজি ঠেকানোর কথা উঠল, কিন্তু মন্ত্রী-এমপিদের চাঁদাবাজির আয়ের সংযোগ নিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্বিকার। শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে বেশ বকে দেওয়া হচ্ছে।

কয়েকদিন রেস্টুরেন্ট বন্ধে কর্তাদের বেশ সক্রিয়তা দেখা গেল। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার রেগুলেটরি দায় তৈরি হল না। অবৈধ ভবন, ব্যবসা ও বাণিজ্য গড়ে ওঠায় ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের দুর্নীতি ও ঘুষের যোগসূত্র স্বীকৃতি পেল না। বরং ১১টি নিরাপত্তা ও রেগুলেটরি লাইসেন্সধারী রেস্টুরেন্টকে অভিযানের নামে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কর্মরত দারোয়ান, বাবুর্চি ও ওয়েটারদের বেতন ও কর্মসংস্থানের হিসাব কষার দরকার পড়েনি।

এসবে প্রচুর পপুলিস্ট সমর্থন এসেছে। এমনকি তথ্য চাওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট ডেকে সংবাদিককেও জেলে দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে এসবে কিছু লোকের হঠাৎ বড়লোক হওয়ার উপলক্ষ তৈরি হয়। এভাবে আন্দোলনের সময় বিরোধী নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার বাণিজ্য বিভিন্ন বাহিনী এবং আদালতের কিছু ব্যক্তির ঘুষের ভাগ্য খুলে দেয়।

এক দশক ধরে যারা ব্যাংক ঋণ ইচ্ছাকৃত খেলাপি করেছে, নির্বাচনের ঠিক আগে যাদের ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ মাফ করা হয়েছে—তাদের মধ্যে যারা চুনোপুঁটি তাদেরকে ঢেকে নিয়ে একটু বকে দেখার ঘটনা কিংবা দু-চারদিনের গ্রেপ্তার নাটক আমরা সামনে দেখবো।

খারাপ ব্যাংককে ডেকে তাদের বকে দিয়ে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের উদ্যোগ দেখছি। এতে ভালো ব্যাংকগুলোকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কি না, তার হিসাব নেই। খারাপ ব্যাংকগুলোর আমানত খেয়ে দিয়ে এখন ভালো ব্যাংকে কেউ চোখ ফেলেছে কি না, এসব  বিবেচনার দরকার নেই।

জনতুষ্টিবাদের প্রকল্প হিসেবে শহুরে মধ্যবিত্তকে ক্রমাগত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যস্ত রাখার কাজটি সফলভাবেই চলছে। বিভিন্ন বয়ানে তরুণদের অন্ধ করে রাখার পরিকল্পনাগুলো চলবে, এক নাটকের পরে অন্যটার অবতারণা থেমে থাকবে না। 'মিডিয়া ডিসকাশন পয়েন্ট সেটিং'র এজেন্ডায় জনতুষ্টিবাদ প্রকল্প এগিয়ে যাবে। নির্যাতনের ঘটনা ও শোক এখানে স্বাভাবিক বিষয় হবে।

 

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে 'চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ', 'বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর', 'অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা', 'বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য', 'উন্নয়নের নীতি ও দর্শন', 'ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা, বেকারত্ব ও বিসিএস', 'Bangladesh: Development Trajectory and Democracy Deficit'

ইমেইল: [email protected]

Comments