রাষ্ট্রীয় পদ মানেই ক্ষমতার অপব্যবহার?

সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরকম বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া লোকের সংখ্যা কত? কতজন ধরা পড়বেন আর কতজন শেষ পর্যন্ত নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন?

ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং ভাইদের অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যখন সমালোচনা চলছে—তখন এই প্রশ্নটিও সামনে আসছে যে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরকম সুবিধা নেওয়ার কাজটি কি শুধু এই দুজনই করেছেন?

যখন সরকারের সাবেক এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে গণমাধ্যমে নানা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা হচ্ছে, তখন পুলিশের একজন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের একজন কর্মকর্তার ব্যাপারেও একইরকম সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। তারাও যে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে জানা যাচ্ছে, সেগুলোও যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেই করা হয়েছে, তা নিয়ে সংশয় থাকার কোনো কারণ নেই।

তবে এই কজনই শুধু নন, রাষ্ট্রের প্রতিটি বাহিনীতে, প্রতিটি সংস্থায়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এরকম লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কেননা, সারা দেশে, অন্তত ঢাকা শহরে যে হাজারো বিলাসবহুল ভবন গড়ে উঠেছে, সেসব ভবনের লাখো ফ্ল্যাটের ক্রেতা কারা—সেটি অনুসন্ধান করলে জানা যাবে, এই ক্রেতাদের বিরাট অংশই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী—যাদের অনেকের বেতনের টাকায় ঠিকমতো সংসার চালানোর পরে অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চয় করারই সুযোগ নেই। তাহলে তারা নিজেদের বা স্ত্রী কিংবা সন্তানের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বিঘার পরে বিঘা জমি অথবা বিদেশে বাড়ি কেনেন কীভাবে?

দেশের বিভিন্ন স্থানে যে বড় বড় রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে; খামারবাড়ি নাম দিয়ে উঁচু দেয়ালঘেরা জায়গায় যেসব অবকাশযাপনকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলোর মালিক কি শুধুই বড় ব্যবসায়ীরা? খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এইসব স্থাপনারও অনেকগুলোর মালিক প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা—যাদের সারা জীবনের অর্জিত বৈধ টাকা দিয়েও এরকম একটি রিসোর্ট বানানো সম্ভব নয়। তাহলে তারা এগুলো কীভাবে বানালেন? কীভাবে তারা বিঘার পর বিঘা জমি কিনলেন? কার টাকায়? এই প্রশ্ন ধরে নির্মোহ অনুসন্ধান করলে যে শব্দটি বেরিয়ে আসবে, সেটি হলো—ক্ষমতার অপব্যবহার।

প্রতিটি থানার সাবেক ও বর্তমান ওসিদের সম্পদের খোঁজ নিলে কী চিত্র বেরিয়ে আসবে, সেটি মোটামুটি আন্দাজ করা যায়। পুলিশ বাহিনীতে সৎ ও ভালো মানুষ নেই তা নয়। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই বাহিনীর বিপুল সদস্য যে অভাবনীয় সম্পদ গড়ে তুলেছেন—তার অনেক উদাহরণ এরইমধ্যে তৈরি হয়েছে। বাস্তবতা হলো, যে পরিমাণ ঘটনা সামনে আসছে বা জানা যাচ্ছে, আড়ালে থাকছে তার চেয়ে অনেক বেশি। অর্থাৎ ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত সকলেই সাধু।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার বিষয়ে প্রথম সংবাদটি প্রকাশিত হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। তার ওই সম্পদ অর্জনকে 'আলাদীনের চেরাগের' সঙ্গে তুলনা করা হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করলে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে তার সম্পদ অর্জনের আরও অনেক গল্প—যা আলাদীনের চেরাগের মতো রূপকথাকেও হার মানায়।

গণমাধ্যমের খবর বলছে, বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী, সন্তান ও কয়েকজন স্বজনের নামে প্রায় ১১৪ একর বা ৩৪৫ বিঘা জমি খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সবচেয়ে বেশি জমি পাওয়া গেছে তার স্ত্রীর নামে। আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) উল্লেখ করেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে এবং স্ত্রী-সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। তারা এই সম্পদ (তফসিলে বর্ণিত) অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। (প্রথম আলো, ২৭ মে ২০২৪)

শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে কোনো সম্পদ আছে কি না, সেই খোঁজও শুরু করেছে দুদক। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদেশে সম্পদের খোঁজ নিতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বেনজীর আহমেদকে নিয়ে যখন এসব খবর আসছে, তখন ঢাকা সিটি এসবিতে (নগর স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কর্মরত অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জনের খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। তার সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রয়েছে গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে নজরকাড়া বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স, বাড়ির সামনে বিশাল সরকারি পুকুর দখল করে ভরাট, একই এলাকায় ভাইদের নামে গড়ে তোলা 'কানাডা সুপার মার্কেট', ঢাকার ইন্দিরা রোডে বহুতল বাড়ি, গুলশানে ১৫ কোটি টাকার ছয় হাজার স্কয়ার ফুটের ফ্লোর, মিরপুর চিড়িয়াখানার পাশে ১২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় প্রায় দুই বিঘা জমিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ। তার বিরুদ্ধেও অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। (যুগান্তর, ২০ মে ২০২৪)।

এরপরেই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন এনএসআই কর্মকর্তা আকরাম হোসেন। যার বিরুদ্ধে ছয় কোটি ৭০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক। গণমাধ্যমের খবর বলছে, ওই কর্মকর্তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ১৫ বছরে জমা হয়েছে ১২৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। একই সময়ে তুলে নেওয়া হয় ১২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসা দেখানো হলেও ব্যাংকিং লেনদেন করেছেন স্বামী আকরাম হোসেন। ঢাকায় এই দম্পতির আছে একাধিক ফ্ল্যাট, দোকান ও জমি। ঢাকার বাইরে নাটোরে আছে বাড়ি ও জমি। কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপেও জমি কেনা হয়েছে। সাভারের বিরুলিয়ায় আছে সাড়ে ছয়তলা বাণিজ্যিক ভবন। (প্রথম আলো, ২৯ মে ২০২৪)

বাস্তবতা হলো, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের ওপর নজরদারি করেন। কিন্তু এই বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই যখন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরকম বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া যায়, তখন জনমনে নানা প্রশ্ন ওঠে। এই বাহিনীর কিছু অসৎ লোক ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরির ভয় দেখিয়ে বিপুল অর্থ আদায় করে বলে যে অভিযোগ আছে, এইসব ঘটনায় সেটিই প্রমাণিত হয় কি না—সে প্রশ্নও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন হলো, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাহিনীতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরকম বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া লোকের সংখ্যা কত? কতজন ধরা পড়বেন আর কতজন শেষ পর্যন্ত নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন?

দ্বিতীয় প্রশ্ন, এই ব্যক্তিরা কীভাবে এত সম্পদ গড়ে তুলতে পারলেন? রাষ্ট্রীয় সিস্টেমের কোথাও নিশ্চয়ই এমন কোনো গলদ রয়ে গেছে, যার সুযোগ নিয়ে একজন পুলিশ অফিসার কিংবা কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা অথবা প্রশাসনের অন্য কোনো পদের লোক শত বা হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলতে পারছেন। সেই গলদটা কি চিহ্নিত করা যাবে বা রাষ্ট্র কি সেই গলদ চিহ্নিত করতে চায়?

রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে প্রতিষ্ঠান বা যে বাহিনীর লোকদের নানাভাবে ব্যবহার করে, তারা যদি কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার নৈতিক জোর কি সরকারের থাকে?

তারও চেয়ে বড় প্রশ্ন, হঠাৎ করে এই বিষয়গুলো কেন সামনে আসছে? এগুলো কি 'হঠাৎ আলোর ঝলকানি'? যেমন: ক্যাসিনো-কাণ্ড নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু সেই 'ক্যাসিনোসম্রাট' খ্যাত যুবলীগ নেতা সম্রাট সম্রাটের মতোই জেল থেকে বেরিয়ে গেছেন। ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে দুদকের মামলায় চার বছর সাজা খেটেছেন এবং আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন এমন একজন ব্যক্তি সেলিম প্রধান এবার উপজেলা নির্বাচনও করছেন। যদিও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানটি যেভাবে শুরু হয়েছিল, তাতে মনে হয়েছিল দেশ থেকে ক্যাসিনো ব্যবসা উঠে যাচ্ছে এবং এই ব্যবসার নামে সব ধরনের অন্যায় ও অবৈধ কাজ দেশ থেকে চিরতরে দূর হয়ে যাবে। দূর হয়েছে কি?

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে এখন যে একের পর এক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে; তার সম্পত্তি এমনকি শেয়ার বাজারের বিও অ্যাকাউন্টও যে স্থগিত করা হলো—সেটি কী বার্তা দিচ্ছে? সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও বলেছেন, 'সরকার তাদেরকে কোনোরকম প্রটেকশন দেবে না। আইন নিজের গতিতে চলবে।' এর আগে, এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা, ২৯ মে ২০২৪)

প্রশ্ন হলো, সরকার কি তার রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে এই অবস্থান নিয়েছে? অথচ তারা এই সরকারেরই আস্থাভাজন ছিলেন। সরকার কি এই একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে পুরো বাহিনীর সবাইকে এই বার্তা দিচ্ছে যে, অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না—তাতে তিনি যে পর্যায়ের কর্মকর্তাই হোন না কেন? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে?

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কি সত্যিই প্রমাণ করা যাবে এবং প্রমাণিত হলে তার কী শাস্তি হবে? অন্যদের বেলায়ও একই কথা। সরকার বা রাষ্ট্রযন্ত্র কি সত্যিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার যে শূন্য সহনশীল নীতি—সেটির প্রয়োগ ঘটাচ্ছে? এখানে বৈশ্বিক রাজনীতির কোনো যোগসূত্র কি রয়েছে? অর্থাৎ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে টানাপোড়েন, যে টানাপড়েনের অংশ হিসেবেই একজন সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে—তারই অংশ হিসেবে সরকার কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চায়? ঘটনা যাই হোক, প্রশাসনের সর্বস্তরে এই বার্তাটি দেওয়া খুব জরুরি যে, ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ গড়ে তুললেও জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে গিয়ে ধরা খেতে হতে পারে।

তবে এই বার্তাটি শুধু প্রশাসনে নয়, দলের ভেতরেও দেওয়া দরকার। ক্ষমতাসীন দলের একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাও যেরকম ক্ষমতা দেখান বা তাদের অনেকেই যেভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করেন—তাতে তাদের বিরুদ্ধেও এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের সময় এসেছে। না হলে নানাবিধ বৈশ্বিক সংকটের ভেতরেও বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক সমালোচনার পরেও যে নানা ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে—সেই অর্জন ম্লান হয়ে যাবে।

সর্বোপরি, দুর্নীতি হচ্ছে এমন একটি ঘুণপোকা যা ভেতর থেকে রাষ্ট্রের সমস্ত অর্জন খেয়ে ফেলে এবং বাইরে থেকে দেখা না গেলেও হঠাৎ করে একদিন সমস্ত কাঠামো ভেঙে পড়ে। সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার, তার নির্মোহ বাস্তবায়ন জরুরি। সেটি দেশ ও মানুষের জন্য তো বটেই, দলের জন্যও।

আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক

Comments