'আমার ভাইকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না'

গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে হতাহতদের আনা হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নিখোঁজদের জন্য হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা। কান্না আর আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
বড় ভাইকে খুঁজতে মা ও দাদির সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছে ১১ বছরের হুসেন। ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে হতাহতদের আনা হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নিখোঁজদের জন্য হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা। কান্না আর আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।

রাত সাড়ে আটটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই বিস্ফোরণে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এম্বুলেন্সে করে হতাহতদের আনা হচ্ছে। স্বজনদের খোঁজে সেখানে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। তবে এখনো অনেকেই জানেন না তাদের স্বজনরা কেমন আছেন—আদৌ বেঁচে আছেন কিনা।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ১১ বছরের হুসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন তার মা ও দাদির সঙ্গে। বিস্ফোরণের পর থেকে তার একমাত্র বড়ভাই সিয়ামের (১৮) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অসহায় অবস্থায় হাসপাতালে বসে কাঁদছিল হুসেন।

হুসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলে, বিস্ফোরণের পর আমার ভাইয়ের ফোনে কল যাচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকে ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এখনো আমরা তাকে খুঁজে পাইনি।

তাদের মা হালিমা বলেন, দুই বছর আগে সিয়াম জয়নাল স্যানিটারি নামের একটি দোকানে কাজ নেয়। আজ সকালে সে বাড়ি থেকে কাজের জন্য বের হয়।

এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিস্ফোরণের কথা জেনে তারা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে হাসপাতালে এসেছেন বলে জানান হালিমা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খোঁজ করেও সিয়ামকে পাননি তারা।

সিদ্দিকবাজারে আরেক দোকানের কর্মচারী সিয়ামের বাবা মো. দুলালও তার খোঁজ করছেন বলে জানান হালিমা।

 

Comments