বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়মিত তারকাদের বিশ্রাম দিতে পারে ভারত

ভারত বনাম বাংলাদেশ

ফাইনালে নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আপাতত এশিয়া কাপে বেশ স্বস্তিতে আছে ভারত। তবে ফাইনালের আগে সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার একটা ম্যাচও আছে তাদের। এই ম্যাচে কয়েকজন নিয়মিত তারকাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।

আগামী শুক্রবার এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। বাজে সময় পার করা সাকিব আল হাসানের দল চাইছে শেষটা জয় দিয়ে সারতে।

ভারত যেহেতু ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে কাজেই এই ম্যাচের গুরুত্ব তাদের কাছে কিছুটা কম। এশিয়া কাপের ফাইনাল ও বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের চোটমুক্ত রাখার চিন্তা ঘুরছে দলটির ভেতর।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, জাসপ্রিট বুমরাহ, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া এমনকি বিরাট কোহলির মতন তারকাদেরও বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ রানের জয়ের পর ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের আলোচনায় ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকও বলেন, এমন চিন্তা হবে আদর্শ, 'আমি হলেও বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দিতে চাইতাম, সবাই টানা তিনদিন মাঠে ছিল। তাছাড়া ফাইনালের আগে সতেজ রাখার ব্যাপার আছে। বুমরাহকে অবশ্যই বিশ্রাম দেয়া উচিত, এমনকি কোহলিকেও বিশ্রাম দেওয়া যায়। আমাদের ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের জন্য এসব ম্যাচ গেইম টাইম পাওয়ার জন্য উপযুক্ত সুযোগ।'  

বৃষ্টি বাগড়া ও সূচির জটে এশিয়া কাপে টানা তিনদিন মাঠে থাকতে হয়েছে ভারতকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রবিবার শুরু হলেও বৃষ্টিতে পরে রিজার্ভ ডে সোমবারে শেষ হয় ম্যাচ। সেই ম্যাচে বড় জয় পাওয়ার পর মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ কষ্ট করে জিততে হয়েছে ভারতকে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে আছে দুদিন সময়। ফাইনালের জন্য পাওয়া যাবে আরও দুদিন। জানা গেছে, বুমরাহকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হতে পারে মোহাম্মদ শামিকে।

লোকেশ রাহুলরের জায়গায় বিবেচনায় আছেন সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা এই ব্যাটার কেমন করতে পারেন তা দেখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। কোহলিও যদি বিশ্রাম নেন তবে তার জায়গা নিতে পারেন শ্রেয়াস আইয়ার। চোটের কারণে তিনিও দুই ম্যাচ ছিলেন বাইরে। এমনকি পেস অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকেও নিয়ে বেশি ঝুঁকি নিতে চায় না দলটি। তিনি বিশ্রামে গেলে খেলবেন শার্দুল ঠাকুর।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

7h ago