আশা করা হচ্ছে, জুনের মধ্যে উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে।
এনবিআরের পরিবর্তে সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠন করবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে এই কর্মকৌশলটি এসেছে। সংস্থাটির চলমান চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির সঙ্গে এই শর্ত দেওয়া আছে।
রাজস্ব আদায়ে রাজস্ব বোর্ডের ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিতর্ক সামনে এসেছে যে, সংস্কার হিসেবে চিহ্নিত এই উদ্যোগটি অর্থবহ সংস্কার আনবে নাকি আমলাতন্ত্রের জটিলতা আরও বাড়াবে।
রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে—চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে দুই দশমিক ৭৬ শতাংশ।
‘হুন্ডি কমে যাওয়ায় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে।’
আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি ঋণ শর্তের অধীনে বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কার পর্যালোচনায় আগামীকাল থেকে দুই সপ্তাহ ঢাকায় সরকারের মূল সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হতে পারে। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের প্রায় সমান ও সংশোধিত বাজেটের...
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। কারণ প্রায় দুই বছর ধরে নয় শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি নিয়ে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
এনবিআর কর্মকর্তাদের মতে—দেশীয় শিল্পায়নের সুবিধার্থে, রপ্তানি আরও সহজ করতে ও নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এসব ছাড় দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলটি আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
এই পরিসংখ্যান গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপক কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের শিকার হওয়া ব্যাংক সেক্টরের নাজুক অবস্থাকে তুলে ধরেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত অর্থবছরের শুরুতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি থাকে, ফলে ঋণ বিতরণ কমে যায়।
গত বছর আইএমএফের কাছ থেকে চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ পায় বাংলাদেশ। গভর্নর জানান, অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার পেতে সংস্থাটির সঙ্গে কথা চলছে।
কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে হারে ঋণ দেয় তাকেই পলিসি রেট বা রেপো রেট বলে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলেও ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।
আইএমএফ জানিয়েছে, স্বায়ত্তশাসনের অভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
এই কেলেঙ্কারির জন্য কাকে দায়ী করা উচিত?
সাবেক গভর্নর বলেন, ব্যাংক থেকে অধিক পরিমাণে ঋণ নিলে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবে না, বিনিয়োগ আরও স্থবির হয়ে যাবে।