এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে তাদের ঋণ প্রতিশ্রুতি গত বছরের এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে চলতি বছর দুই বিলিয়ন ডলার করতে পারে।
স্বল্প সুদের এই ঋণের জন্য সরকারকে ব্যাংকখাত সংস্কারসহ বেশকিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
গত মাসে সরকার প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে। এর আগের পাঁচ মাসের ঋণ পাওয়ার গড় ছিল ৩০৯ মিলিয়ন ডলার।
সরকারের অর্থ বিভাগের উদ্যোগে ২০২৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড।
এই ঋণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসন ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে ব্যবহার করা যাবে।
এসব প্রস্তাবের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ও এডিবির কাছ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলার আশা করছে বাংলাদেশ।
সংস্থাটি এর আগে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ বলেছিল।
প্রাথমিকভাবে এই ঝুঁকিগুলো চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভঙ্গুর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আর্থিক খাতে দুর্বলতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে।’
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার জন্য আরও এক বিলিয়ন ডলার ঋণের বিষয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে এডিবি।
‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি প্রমাণ করার একটি সুযোগও পাচ্ছে যে, তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র নির্বিচার ঋণ ব্যবসাতে সীমাবদ্ধ নয়।’
টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশকে ৩৩৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) প্রোগ্রামের উন্নয়নে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ বুধবার ‘উন্নয়নশীল এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবণতা ও সম্ভাবনা: দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এডিবি এ পূর্বাভাস জানিয়েছে।
দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও শিল্প খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
গত এপ্রিলে এডিবির পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ফাতিমা ইয়াসমিনকে আগামী ৩ বছরের জন্য সেক্টর ও থিমের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
মহামারি-পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু করা দ্বিতীয় কর্মসূচির আওতায় এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
আগামী বছর বাংলাদেশ দেড় ট্রিলিয়ন অর্থনীতির মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।