বেশ কিছু দাবিতে এনবিআর কর্মকর্তারা গত ২৮-২৯ জুন কর্মবিরতিতে যাওয়ার পর সরকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়।
রোববার মামলাটি দায়ের করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, অভিযুক্তরা নিজের নামে অথবা তাদের কর্মীদের নামে দেশে ও বিদেশে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গড়েছেন।
তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্যও পেয়েছে দুদক।
আজ বুধবার বিকেলে দুদকের ৯ সদস্যের একটি দল সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করে।
উন্নয়ন প্রকল্পের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৮ জুন কলিম উল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদক মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন এ কথা জানান।
আবেদনে দুদক কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে তাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ পাচারের মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
উপদেষ্টা বলেন, এনবিআর কর্মকর্তারা এখন নিশ্চিন্তে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
দুদক মহাপরিচালক জানান, যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, সাইফুল আলম ও ফারজানা পারভীন সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস ও জার্সি আইল্যান্ডসে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মালিক।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, টিউলিপ যতই বলুন তিনি ব্রিটিশ নাগরিক, আমাদের কাগজপত্র অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।
তাদের বিরুদ্ধে অন্তত ১২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে মে মাসে ব্রিটিশ লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা টিউলিপকে তলব করেছিল দুদক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, টিউলিপ প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা এক চিঠিতে লন্ডন সফরকালে চলমান বিতর্ক নিয়ে আলোচনার সুযোগ চেয়েছেন।
আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে দুদক।
এনসিপি থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
হলফনামায় তিনি ২১ দশমিক ৯১ একর জমি বা ৩১ লাখ টাকার বেশি সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন বলে জানিয়েছে দুদক।