কেজরিওয়াল বলেন, বিজেপিকে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং আমি আশা করি তারা সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে যার জন্য মানুষ তাদের ভোট দিয়েছে।’
আগামী শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বোঝা যাবে, টানা তৃতীয়বারের মতো দিল্লির দায়িত্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি আসবে, নাকি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি...
বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ঝাড়খণ্ডের জনগণ। তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত করে রাজ্যটিতে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন জোট।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঝাড়খণ্ড সরকারকে নির্বাচনী লাভের জন্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করার পর এসব প্রশ্ন উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী সোরেন।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন অমিত শাহ।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে ঘিরে পুলিশের বাড়াবাড়ির প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার পশ্চিমবঙ্গ ‘বনধ’ (অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি।
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের প্রশংসার পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানান শশী থারুর।
দুই নেতা ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ওম বিড়লাকে স্বাগতম জানান এবং তাকে স্পিকারের জন্য নির্ধারিত আসনের সামনে নিয়ে যান।
বিজেপির দীর্ঘদিনের একনিষ্ঠ কর্মী ওম বিড়লা। ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। পরপর দুইবার বিজেপির টিকিটে রাজস্থানের কোটা-বুন্দি আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এনডিএ জোটের দুই প্রধান শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে দরকষাকষি শুরু করেছেন
এদিকে,কংগ্রেসসহ বিরোধী জোটের নেতারাও বৈঠকে বসেছেন দিল্লিতে।
প্রথমবারের মতো ভোটে দাঁড়িয়ে বাজিমাত করেছেন চিত্রনায়িকা কঙ্গনা রানাউত। অন্যদিকে হেমা মালিনী, মনোজ তিওয়ারি এবং রবি কিশানের প্রতি আবারও আস্থা রেখেছেন ভোটাররা।
মোদি আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার সব রাজ্যের সঙ্গে কাজ করবে।
গত দুই লোকসভা নির্বাচনেও (২০১৪ ও ২০১৯) দিল্লির সাত আসনের সাতটিই জিতে নিয়েছিল বিজেপি।
করোনাভাইরাস মহামারির পর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ পয়েন্টের পতন।
মততা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ৩২ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর বিজেপি এগিয়ে মাত্র ১০টিতে।
এনডিটিভিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাত জানান, তারা খুবই আনন্দিত, কারণ উত্তর প্রদেশ ‘অত্যন্ত কড়া বার্তা দিয়েছে’।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮০ লাখ, যার মধ্যে ৬৬ দশমিক তিন শতাংশ ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এবার ৪০০ আসনে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল বিজেপি জোট। তবে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।