বক্তারা বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এনআরবি তথা প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পরও তারা অবহেলিত। বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে প্রবাসীদের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবায় যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।’
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই মাসে তা ছিল ১৭ কোটি ৯০...
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীর গতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো সংবাদ নয়, বরং তা উদ্বেগজনক।
চলতি বছরের আগস্টে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্য গত কয়েক মাস কম থাকার পর তা আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে।
২০২১-২২ সালের শেষে ৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় জুনে তা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে। গত মের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়ে তা ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা একমত যে, দেশের বাইরে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ কেএনওএমএডির প্রতিবেদনের তুলনায় অনেক বেশি।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদায়ী অর্থবছরের জুনে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ রেমিট্যান্স এসেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে।
প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রতি ডলারের মূল্য ১০৮ টাকা দেবে। তবে এর সঙ্গে সরকার ঘোষিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা যোগ হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পরিবার-পরিজনের কাছে অর্থ পাঠানোয় গত মার্চে দেশে ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে।
‘আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে এবং সে জন্য আমরা কর্মীদের জন্য বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ এবং সৌদি আরবে ২০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন।
জানুয়ারিতে দেশে গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশ গত ডিসেম্বরে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে যেতে পারে।
এখন থেকে প্রতিবছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পালন করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।