এ ঘটনায় আজ সোমবার বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়েছে...
বুধবার দুপুরে মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর মেইন পিলারের সাব পিলার ছয় এস এর কাছে হাসিবুল গুলিবিদ্ধ হন।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল আলম (২৪) মারা গেছেন।
মৌলভীবাজারে স্কুলশিক্ষার্থী স্বর্ণা দাসের পরিবারে কেবলই চৈত্রের হাহাকার।
মরদেহটি উদ্ধারের জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো দরকার।’
বিএসএফ এখনো নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দেয়নি।
বৈঠকে ফেনসিডিল, ইয়াবা, অস্ত্র ও অন্যান্য মাদক চোরাকারবারসহ সীমান্তের অপরাধ রোধের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এওলাছড়া বস্তি এলাকার শূন্যরেখার কাছে এ ঘটনা ঘটে।
‘এটা কিলিং না—ইনসিডেন্ট বলতে পারেন। স্মাগলাররা অনেক সময় বিএসএফকেও আক্রমণ করে বসে, তখন তারা গুলি করে বাধ্য হয়ে। আমাদের তরফ থেকেও যেমন গুলি হয় মাঝে মাঝে।’
গত ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়।
‘আমরা অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছি, কেন তিনি ভারত ভূ-খণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন এবং কীভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন’
গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১৩ ঘণ্টা পর আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা মরদেহটি সেখান থেকে নিয়ে যায়।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফ গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সীমান্তে কুমারতারি বিলে ভেলায় মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।