ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিলো হলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হাউস টিউটরের বক্তব্য শুনেছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।
ইবি, উপাচার্য, ছাত্রলীগ, কার্যালয়, তালা, অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হাউস টিউটরের বক্তব্য শুনেছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।

আজ মঙ্গলবার কমিটি গঠনের দ্বিতীয় দিনে হল প্রভোস্টের অফিসে বসে কমিটির সদস্যরা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা ও তাবাসসুম হলে ছিলেন। সকালেই তাদের হলে নিয়ে আসা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম।

হল সূত্রে জানা গেছে, যে কক্ষে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতন করা হয় তদন্ত কমিটি তার আশপাশের কক্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রভোস্ট ড. শামসুল আলম আমাদের তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলতে হবে জানালে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলি।

তদন্ত কমিটি কী জানতে চেয়েছে? জিজ্ঞেস করলে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'ওইদিন পাশের কক্ষে কী ঘটেছিল, আমরা কিছু টের পেয়েছিলাম কিনা, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।'

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'তদন্ত কমিটি বার বার ওই রাতের ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী বা ঘটনার খুব কাছে ছিলেন এমন কাউকে খুঁজছিল।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক শিক্ষার্থী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সানজিদা চৌধুরী হলে দাপট দেখাতেন। হলের বিভিন্ন বিষয়ে মাথা ঘামাতেন।'

অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা তদন্ত কমিটির সদস্যরাও আজ দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে যান। এ কমিটিও দ্বিতীয় দফায় ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা ও তাবাসসুমের সঙ্গে কথা বলেছে।

তবে তদন্তের বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে এখনই কিছু জানাতে অস্বীকার করেছেন কমিটির সদস্যরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের করা তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক রেবা মণ্ডল জানান, তারা তদন্ত কাজ গুছিয়ে এনেছেন। যথাসময়ে রিপোর্ট জমাদানের চেষ্টা করবেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, হলে আবাসিকতা না থাকায় ওই শিক্ষার্থী গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর দিনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রীর রুমে উঠেন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।

এই নির্যাতনের ঘটনায় এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে অংশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের পাশাপাশি তদন্ত চলাকালে সানজিদা ও তাবাসসুম যাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে না পারেন, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

 

Comments