আইইএলটিএস স্পিকিং: দ্বিতীয় অংশে ভালো করার উপায়

সত্যিকার অর্থেই স্পিকিং মডিউল, বিশেষ করে এর দ্বিতীয় অংশ কিছুটা চাপের বিষয়। 
ছবি: সংগৃহীত

আইইএলটিএস স্পিকিং মডিউলের দ্বিতীয় অংশ সামাল দিতে গিয়ে অনেক পরীক্ষার্থী স্নায়বিক চাপে ভোগেন। অনেকে পরীক্ষা দিয়ে এসে বলেন, হঠাৎ করে যেন সব গুলিয়ে গেল, পুরা মাথা ফাঁকা ফাঁকা ঠেকল, আর কোন কথাই মুখ দিয়ে বের হলো না। 

সত্যিকার অর্থেই স্পিকিং মডিউল বিশেষ করে এর দ্বিতীয় অংশ কিছুটা চাপের বিষয়। 

কারণ এখানটায় শুধু ইংরেজির দখল থাকলেই ভালো করা যায়, অনর্গল কথা বলা যায়, এমনটা না; বরং ভালো করার জন্য ইংরেজির দখলের সঙ্গে পরীক্ষা মোকাবিলার বিশেষত কারও সামনে চাপে না ভুগে সাবলীলভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করার মানসিক যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে। 

স্পিকিং মডিউলের দ্বিতীয় অংশে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে টানা কথা বলে যেতে হয়। মোটামুটি ২ মিনিটের মতো কথা বলতে হয়। বিষয়টির কোন কোন আঙ্গিক মাথায় রেখে কথা বলতে হবে সেরকম কয়েকটি প্রশ্নও দেওয়া থাকে। 

একটা কার্ডে পরীক্ষার্থী যে বিষয়ে কথা বলবে, তার উল্লেখ থাকে। আর বিষয়ের নিচে আঙ্গিক বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন দেওয়া থাকে। নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে পরীক্ষার্থীকে কথা বলা শুরুর আগে ১ মিনিটের মতো সময় দেওয়া হয় প্রস্তুতি গ্রহণ বা নোট নেওয়ার জন্য।

মূলত এই অংশে একজন শিক্ষার্থীর- টানা কথা বলার যোগ্যতা আছে কি না, তার ব্যাকরণের ওপর দখল কতটা, তিনি কথা বলতে গিয়ে নিজের ভাবনাগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে পারেন কি না এবং শব্দের ওপর তার দখল কেমন— এসব দিক যাচাই করা হয়। 

স্পিকিং মডিউলের দ্বিতীয় ভাগে ভালো করার জন্য খুবই জরুরি—পরীক্ষায় দেওয়া বিষয়টির প্রতি ভালভাবে নজর দেওয়া। বিষয়টি কোন সময়ের কথা বলেছে এবং বিষয়টিতে কতটি অংশ আছে তা খেয়াল রাখা। 

যেমন কোনো বিষয় যদি হয়, Describe a restaurant you enjoyed going to তাহলে এখানটায় লক্ষ্য রাখার বিষয়; কথা বলতে হবে এমন একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেখানটায় পরীক্ষার্থী অতীত সময়ে যেতে উপভোগ করতেন। 

কথা বলতে গিয়ে শিক্ষার্থী যদি পুরো বিষয়টাকে বর্তমান সময়ে প্রকাশ করেন অর্থাৎ পরীক্ষার্থী হয়তো বলছেন তার এমন একটা পছন্দের রেস্টুরেন্টের কথা যেখানে তিনি প্রায় সময় যান এবং সেখানকার বিভিন্ন দিক তার পছন্দ। সে ক্ষেত্রে বিষয়ের কাল (Tense) পরিবর্তন করে ফেলায় শিক্ষার্থীদের খারাপ স্কোর পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

অন্যদিকে, কোনো কোনো বিষয়ে দেখা যায়, একের অধিক অংশ থাকতে। যেমন পরীক্ষার্থীকে বলতে বলা হলো, এমন একটা সময়ের কথা বলতে, যখন তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং যার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। এ ক্ষেত্রে কথা বলতে গিয়ে কেউ যদি শুধু কোনো এক সময়ের বা পরিস্থিতির কথা বলেন যখন কারও সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল, কিন্তু বিষয়ের অন্য অংশ অর্থাৎ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার দিকটি উল্লেখ না করেন, তবে ভালো স্কোর পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। 

এরই সঙ্গে, বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত প্রশ্নগুলোতে সঠিকভাবে নজর দেওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রশ্নগুলো দেখে বিষয়টির কথা কোন দিকে ধাবিত করতে হবে তা বোঝা যায়। 

অন্যদিকে, শুধু দ্বিতীয় অংশেই নয়, স্পিকিং মডিউলে সামগ্রিকভাবে ভালো করার জন্য শিক্ষার্থীদের অনর্গল কথা বলার সক্ষমতা থাকতে হয়। আর এই যোগ্যতা অর্জনে চর্চার কোনো বিকল্প নেই। চর্চার প্রক্রিয়া আলাদাভাবে আলোচনার দাবি রাখে, এবং তা পরবর্তী কোনো সময়ের জন্য রাখা থাকল। 

একইভাবে, দ্বিতীয় অংশে তো বটেই, সামগ্রিকভাবেই স্পিকিং মডিউলে বেশি স্কোর নিশ্চিত করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের গঠনগত দিক দিয়ে ভিন্ন নানাবিধ বাক্য ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। তা হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি গ্রহণকালীন সময়ে একই কথা, প্রশ্নের উত্তর ভিন্ন ভিন্ন গঠনের বাক্য ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বলতে হবে বা উত্তর দিতে হবে। একইসঙ্গে, বাক্যে প্রয়োজনীয় শব্দের ব্যবহার করে ফেলতে পারলে ভোকাবুলারি দখলের কাজটাও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। 

সব মিলিয়ে, দ্বিতীয় অংশসহ স্পিকিং মডিউলের সবটায় ভালো করার জন্য দরকার পরীক্ষা মোকাবিলার মানসিক নৈপুণ্য, পরীক্ষায় আসা বিষয় ও তৎসংলগ্ন প্রশ্ন সমূহের দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া, নানাবিধ গঠনের বাক্য এবং প্রয়োজনীয় শব্দের ব্যবহার। 

 

Comments