এ বিজয় জনগণের, এ বিজয় সংগ্রামের

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পালানোর পর রাজপথে আন্দোলনকারীদের জমায়েত। ছবি: বিবিসি

ভারত মহাসাগরের জলরাশি ছুঁয়ে দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কায় ভোরের আলো ফোটার আগেই দেশবাসী জানতে পান তাদের 'প্রেসিডেন্ট' পালিয়েছেন। তাদের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের জয় হয়েছে।

আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো মানুষ কলম্বোর রাস্তায় নেমে আসেন।

তাদের অনেকে জড়ো হন আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি গল ফেস গ্রিন এলাকায়। সেখানে সাধারণ আন্দোলনকারীদের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী শিবিরগুলোয় চলছে জ্বালাময়ী বক্তব্য। জানানো হচ্ছে, কীভাবে রাজনৈতিক নেতারা জনগণের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি বক্তব্যের শেষে শ্রোতারা উচ্চস্বরে সিংহলী ভাষায় বলছেন, 'এ বিজয় সংগ্রামের'।

ছবি: বিবিসি

বিবিসি'র এক সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার কলম্বো ছাড়ার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের 'উল্লেখযোগ্য বিজয়' এসেছে।

প্রায় ২ দশক দ্বীপদেশটির ভাগ্য নিয়ন্তা হয়ে ওঠেছিল রাজাপাকসে পরিবার। কিন্তু, সৌভাগ্যের ছোঁয়া পাননি লঙ্কাবাসী। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে এ পরিবারের সদস্যরা শুধু নিজেদের ভাগ্যই যেন বদলিয়েছেন। জনগণকে ঠেলে দিয়েছেন চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার সাগরে।

এক সময় জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ডাক ওঠে 'গো গো গোতাবায়া'। অনেক গড়িমসি শেষে শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন এক সময়ের নির্বাচিত নেতা। ভোরের আলোর সঙ্গে 'বিজয়' এলো জনগণের।

ছবি: বিবিসি

গল ফেস গ্রিন'র সমাবেশে মার সঙ্গে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যমজ বোন রেশিনি ও রেশানি সামারাকুন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে তারা রাজধানীতে আসেন আন্দোলনে অংশ নিতে।

রেশিনি বিবিসি'কে বলেন, 'আমি মনে করি গোতাবায়া সন্ত্রাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন। তার দেশত্যাগে আমি খুশি। তবে শ্রীলঙ্কার এমন করুণ পরিণতির জন্য কষ্ট পাচ্ছি।'

রেশানি বলেন, 'আশা করছি, ভবিষ্যতে আমরা সবদিক থেকে উন্নত হতে পারবো।'

তাদের বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কায় নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

4h ago