গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই অতিথিরা বেড়াতে এসেছেন।
শারীরিকভাবে তিনি চলে গেলেও রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় এক চিকিৎসা কর্মযজ্ঞের ক্ষেত্র, যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল।
‘খালের পাড় ধইরা বাড়ির পিছন দিয়া মিলিটারি বাড়িত আয়া ঢুকলো। আমরার চার ভাতিজার মইধ্যে তিন ভাতিজাই তহন ঘরের মধ্যে ঘুমাইয়া আছিল, আরেক ভাতিজা ডরে আগেদি পালাইয়া গেছেগা। বাকি তিনজনে আর পালাইবার সুযোগ পায়...
‘মালিটোলার নাদের মিয়া’-কে মুক্তিযুদ্ধ পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। যুদ্ধের আগে স্রেফ গুণ্ডা বা রংবাজ হিসেবেই তাকে চিনত সবাই। এই নাদেরই যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে হয়ে ওঠেন এক সাক্ষাৎ ত্রাসের নাম।
মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম তার ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ গ্রন্থে লিখেছেন, ২৫ মার্চ রাতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে অন্তত এক হাজারেরও বেশি বাঙালি সেনাকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। যদিও ইস্ট...
ভাষা আন্দোলন কোনো আধ্যাত্মিক আন্দোলন ছিল না। এটি কোনো সাংস্কৃতিক আন্দোলনও নয়। প্রথম থেকেই এটি ছিল রাজনৈতিক আন্দোলন। রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতেই ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।
অনেক চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও অনেক চিকিৎসক অবরুদ্ধ দেশে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন।
২ মে পেয়ারা বাগানকে ১ নম্বর ফ্রন্ট এরিয়া ও ভিমরুলিকে সদর দপ্তর করে পূর্ববাংলার জাতীয় মুক্তিবাহিনীর কেন্দ্রীয় ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। প্রশিক্ষণের জন্য ভিমরুলিতে খোলা হয় সামরিক স্কুল।
২৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা অনেক ছাত্র। ঢাকা কলেজের ছাত্র ও দৈনিক সংবাদের অনুবাদক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ঢাকা...
ভাষা আন্দোলনের প্রবল ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল সিলেটের মাটিতেও। আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সিলেট বরাবরই ছিল স্বতন্ত্র, কিছুটা ভিন্ন।
কক্সবাজারে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম
শহীদ হওয়ার আগের দিন ড. শামসুজ্জোহা শিক্ষক সভায় ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত নিজের শার্ট দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘আজ আমি ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত। এর পর কোন গুলি হলে তা ছাত্রকে না লেগে যেন আমার গায়ে লাগে।'
ভাষা আন্দোলনের তীব্র স্রোত পৌঁছে গিয়েছিল উত্তরের জনপদ দিনাজপুরেও। দিনাজপুর বরাবরই ছিল রাজনীতি সচেতন।
পাবনায় ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার ও সক্রিয় প্রভাব বিস্তারে স্থানীয় এডওয়ার্ড কলেজ এবং জেলা স্কুলের রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রগতিশীল জনগণ অবদান রেখেছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের অগ্নি উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল ময়মনসিংহেও। ২ পর্বের ভাষা আন্দোলনে পূর্ব বাংলার যে কয়টি জেলায় আন্দোলন সমানতালে চলেছিল তার মধ্যে ময়মনসিংহ অন্যতম। মুসলিম লীগের প্রবল দাপট থাকা সত্ত্বেও ভাষা...
২৭ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের বাংলাবিরোধী ভূমিকার প্রতিক্রিয়ায় বরিশাল মুসলিম ইনস্টিটিউটে ভাষাবিষয়ক জনসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাটি ছিল মূলত প্রতিবাদ সভা। সভায় খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা...
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ১১ মার্চকে মূল দিন হিসেবে ধরে তা সফল করতে খুলনা শহরে পোস্টার লাগানো হয়। একই সঙ্গে দেয়ালে দেয়ালে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান লেখা হয়।