দেশের আর্থিক খাতে প্রথমবারের মতো ৩৫টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে যাচ্ছে।
‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
‘প্রতিষ্ঠান ভেদে সুনির্দিষ্ট চাহিদা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন নীতি সহায়তা দেওয়া হবে।’
ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) টাকা লেনদেনের সুবিধার্থে ২০২২ সালের নভেম্বরে ‘বিনিময়’ চালু হয়।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে—রিজার্ভ বৃদ্ধি ও ডলারের স্থিতিশীল বিনিময় হারের ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত হয়েছে।
তাদের অনাদায়ী ঋণ (এনপিএল) আগের ঘোষিত তথ্যের চেয়ে চারগুণ বেশি।
অর্থনীতিবিদ ও নীতি নির্ধারকেরা যখন ডলারের উচ্চমূল্যকে দেশের দীর্ঘমেয়াদী মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করছেন, ঠিক তখনই টাকার মান কিছুটা বাড়তেই বাজারে হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ২০টি প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের প্রায় ২২ হাজার ১২৭ কোটি টাকার আমানত রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে এই ছয় ব্যাংকের মোট খেলাপি ছিল ৮০ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের ২৯ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার তুলনায় ১৭১ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের বেতন দিতে এই ঋণের প্রয়োজন।
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ঋণের মধ্যে ভোক্তাঋণের হার ছিল আট দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের বছরে তা ছিল আট দশমিক ৮৬ শতাংশ।
‘বিদেশিরাও মতিঝিলের পরিবর্তে গুলশান ও বনানী বেশি পছন্দ করেন।’
এই প্রথম কোনো ব্যাংক অ্যাননটেক্স গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তুলতে যাচ্ছে।
আগে রপ্তানি ও রিজার্ভের তথ্য বাড়িয়ে বলা হয়েছিল। আইএমএফের পর্যবেক্ষণের পর তা সংশোধন করা হয়।
১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংকটি গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ হাজার ১১৫ কোটি টাকার মন্দ ঋণের চাপে আছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনের প্রায় ৯৫০ শতাংশ।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ ১০টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে—গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৪ দশমিক আট শতাংশ বা ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।