ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ নেতারা এবং বিশ্লেষকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন— বাংলাদেশ কি আদৌ তার বৈশ্বিক অবস্থান ধরে রাখতে...
এর মধ্যে আছে আরও বেশি সংখ্যক মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত করার অনুমতি দেওয়া। মার্কিন তুলার জন্য গুদাম সুবিধা দেওয়া ও অশুল্ক বাধা দূর করা।
গত ৯ এপ্রিল রাত থেকে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। ঠিক আগ মুহূর্তে ট্রাম্প তা ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেন। তা চীনের জন্য প্রযোজ্য নয়।
প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের দিক থেকেও প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে বাংলাদেশ। উভয় দেশের পণ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কহার তুলনামূলক কম। তাই এই দেশ দুটি কম দামে পোশাক রপ্তানিতে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এটি...
‘এই বিরতি বাংলাদেশকে প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় দিচ্ছে।’
কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতারা রেডি-টু-শিপ পণ্যের ওপর বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের কাছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দাবি করছেন। পোশাক তৈরির প্রক্রিয়ায় রপ্তানিকারকদের দেরি করতে বলছেন।
গাজীপুরে ঊর্মি গার্মেন্টসের দোকান থেকে চাল-ডাল, তেল, চিনি, চা-কফিসহ নিত্যপণ্য কেনা যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তবে ওই আদেশে পণ্যভিত্তিক শুল্ক হারের তালিকা বা কাস্টমস গাইডেন্স...
ঢাকায় ইইউ কার্যালয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে শ্রমিকদের সংগঠন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান সুনির্দিষ্ট নয়, তাই কারখানা...
কাপড় ও তৈরি পোশাকের চালান সম্মিলিতভাবে বিবেচনা করলে আয় দাঁড়াবে পাঁচ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। এটি ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম।
কিন্তু, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সর্বশেষ সিদ্ধান্তের কারণে ২০২৬ সালের পর আরও কয়েক বছর বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
‘কারখানাগুলোর সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রয়োজন। কারখানাগুলো যদি পূর্ণ সক্ষমতা নিয়ে চলতে না পারে, তাহলে তারা লোকসানে পড়বে। ফলে এ খাতে বিনিয়োগ করতে কেউ আগ্রহী হবেন না।’
জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য উদ্বেগের আরেক বড় কারণ। অনেকে আবার ব্যাংকে ডলার ঘাটতির কারণে এলসি খুলতে পারছেন না।
দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো রাশিয়ার খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে থাকায় বিকল্প পথে রপ্তানি বন্ধ হয়নি।
গত দেড় বছর ধরে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
এই অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতির দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধার্থে সম্প্রতি বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপন করেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে তুলাবর্জ্য রপ্তানি ৭৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।