আজ রোববার বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লেনদেন শুরুর ৪০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে ৫ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আন্দোলনরত কর্মকর্তারা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্বের পদত্যাগ দাবি করলেও বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার তাদের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রকল্প পরিচালক ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান। তাকে গত সপ্তাহে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন নীতি ব্যবসা, ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের জন্য অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) বিভিন্ন দাবিতে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা।
তবে, যেসব কোম্পানি রপ্তানির পরিমাণ ও মূলধনের দিক দিয়ে তুলনামূলক বড়, তারা ভালো পারফরম্যান্স করলেও তবে ছোট কোম্পানিগুলোকে লড়াই অব্যাহত রাখতে হয়েছে।
মূলত উচ্চহারে সুদ, মূল্যস্ফীতি ও অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কমেছে।
মূলত কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে অবকাঠামো প্রকল্পগুলোয় সরকারি খরচ কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৪৪ দশমিক ১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ১৬১ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুঁজিবাজারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিও অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করেছি।’
এমন সময় এ দাবি জানানো হলো, যখন রাজস্ব আদায়ে মূলধনী মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ আয়কর আরোপের পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন বা টাকার অংকে শেয়ার মূল্য কমেছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা বা ১৫ শতাংশ।
তবে টার্নওভারের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৭ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
এক বছর আগে, বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৭১ হাজার। এটি ২০২২ সালের মে মাসে ছিল ২০ লাখ ৮০ হাজার। এর আগের বছরে একই মাসে ছিল ২৬ দশমিক ৬১ হাজার।
গত অর্থবছরে অন্তত ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগকারীরা চলতি বছরের গত প্রথম চার মাসে লোকসানে পড়েছেন। অন্যদিকে, যারা ১৫ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার নিয়ে ...
ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএসইর চেয়ারম্যান শেয়ারবাজার ও নাসডাক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে চান এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আজ সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।