বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় জনগণের জীবন ও তাদের জীবিকায় ঝুঁকি বাড়বে।
ঝড়ের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলো থেকে গাছ সরিয়ে যান চলাচল শুরু করা গেলেও গ্রামীণ সড়কগুলো শতভাগ সচল হয়নি। শুধুমাত্র ফেনী পৌরসভার আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝিরি থেকে এক কলসি পানি আনতে সময় লেগে যায় প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বাধ্য হয়ে অনেক পরিবারকে পানি কিনে খেতে হচ্ছে।
‘বিকেলের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হবে।’
কৃষকরা জানান, ধানে নতুন ফুল এসেছে। এ বৃষ্টিতে ফুলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে ফসলি জমিতে দুই-চার দিন সেচ লাগবে না।
দেশে মৌসুম-ভিত্তিক আবহাওয়ার ধরণ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও বাড়ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের ওপর।
ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬।
আজ সকাল ১০টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা-অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
উপকূলীয় এলাকা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত আছে।
পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের হিসাব অনুসারে, সিডরে পটুয়াখালীতে ৪৬৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ২১১ জন এখনো নিখোঁজ।
কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষার্থীদের অগ্রিম শীতের ছুটি হিসেবে ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ রাখা হবে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির শিকার আব্দুল কাদের বলেন, 'আমাদের টিন-বাঁশসহ নির্মাণ সামগ্রী দরকার কিন্তু টাকা নেই। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছি।’
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। বর্তমানে কক্সবাজার শহর ও আশেপাশের এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
কক্সবাজারে বাতাসের গতি বেগ ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৭টার পর তীব্রগতিতে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে।