মিথ্যা বলে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে: ভাগনার প্রধান

তার দাবি, ইউক্রেন আক্রমণের পেছনে ক্রেমলিন বিভিন্ন যুক্তি দেখালেও, সেগুলো রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মিথ্যাচার ছিল।
ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনার দল ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেছেন, মিথ্যা যুক্তি দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়েছে

তার দাবি, ইউক্রেন আক্রমণের পেছনে ক্রেমলিন বিভিন্ন যুক্তি দেখালেও, সেগুলো রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মিথ্যাচার ছিল।

শুক্রবার প্রেস সার্ভিসের টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি ভিডিও ক্লিপে ভাগনার প্রধান প্রিগোঝিন এ দাবি করেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনকে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' হিসেবে অভিহিত করে রাশিয়া বলেছে যে ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করতে এ অভিযান। 

ভাগনার প্রধান রাশিয়ার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, 'এটা একটা সাজানো সুন্দর গল্প। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সমাজ ও প্রেসিডেন্টকে প্রতারিত করার চেষ্টা করেছে। তারা আমাদের একটি গল্প বলার চেষ্টা করেছে যে ইউক্রেন ন্যাটোর সঙ্গে জোট বেঁধে আমাদের আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে।'

প্রিগোজিন গত কয়েক মাস ধরেই প্রকাশ্যে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে অযোগ্য বলে অভিযুক্ত করে আসছেন।

শুক্রবার তিনি বলেন, 'যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল...যেন শোইগু মার্শাল হতে পারেন...যেন তিনি "হিরো" পদক পেতে পারেন। ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ বা ডিনাজিফাই করার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল না।'

তিনি আরও বলেন, 'যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল অভিজাত শাসকশ্রেণিকে আরও ধনী করতে, যারা ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন।'

'লক্ষ্য ছিল (ইউক্রেনের) সম্পদ ভাগাভাগি। ডনবাসে ব্যাপক চুরি হয়েছে,' দাবি ভাগনার প্রধানের।

গত মাসে ভাগনার গ্রুপ ইউক্রেনীয় শহর বাখমুত দখল করে। এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রিগোজিন। 

তিনি অবশ্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করেননি।

তবুও তার এ বক্তব্য পুতিনের দেওয়া ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক পাঠানোর সময় পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার জন্য হুমকি এমন দেশকে নিরস্ত্রীকরণ করতে এ অভিযান।

ভাগনার প্রধানের এমন বক্তব্যের বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কোনো তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ক্রেমলিনও এ বিষয়ে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

রাশিয়ান বিশ্লেষকদের অনেকের ধারণা, প্রিগোজিনের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ আছে। তিনি হয়ত শোইগুকে সরিয়ে নিজে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে চান।

Comments