উচ্চ রক্তচাপে কী খাবেন, কী খাবেন না

ছবি: সংগৃহীত

কেউ অসুস্থ হলে আমরা প্রথমেই ভাবি, তার রক্তচাপ বেড়ে গেল কি না। এই রক্তচাপ দিয়ে মূলত বোঝানো হয় ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ দেহের ভেতরে প্রবাহিত রক্তের চাপ। ধমনীগুলোতে রক্তের চাপ বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার বলে।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। শুধু বয়স্ক নন, যেকোনো বয়সের মানুষেরই হাই ব্লাড প্রেশার থাকতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভাসের ঘাটতির কারণে যে কারোরই এটি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্টফেল, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে, রক্তচাপ বেশি হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না চলুন জেনে নিই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার তারেক আহমেদ চৌধুরীর কাছ থেকে।

উচ্চ রক্তচাপ কী

হৃদপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার বলে।

 

কীভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপ

মাথাব্যথা,মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় এরকম কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কিন্তু যদি কারো রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিলিমিটার মার্কারি বা তারচেয়ে বেশি হয় এক্ষেত্রে বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। বয়সভেদে এ মাত্রা কিছু কম অথবা বেশি হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন

  • প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর শাকসবজি যেমন পালংশাক, ফুলকপি, শসা, লাউ, মটরশুঁটি, কলমি শাক, বাঁধাকপি, টমেটো, কুমড়া, বেগুন ইত্যাদি রাখতে হবে। শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
  • পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কলা, ডাবের পানি, টমেটো ইত্যাদিতে পটাশিয়াম থাকে।
  • এক কাপ দুধ খাওয়া যেতে পারে প্রতিদিন।
  • তৈলাক্ত মাছ পরিহার করে অন্য ছোট মাছ খেতে হবে।
  • এ ছাড়া ফলমূল যেমন আমলকি, নাশপতি, পেঁপে, বেদানা, পেয়ারা এগুলোর মধ্যে যেকোনো এক ধরনের ফল প্রতিদিন গ্রহণ করা যেতে পারে।   

প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে এবং খাদ্যাভাস ঠিক রাখতে হবে। 

কী খাবেন না

  • প্রথমত খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে। কাঁচা লবণ একেবারেই খাওয়া যাবে না। এমনকি রান্না করা খাবারেও লবণের পরিমাণ কমাতে হবে।
  • চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। যেমন গরু, খাসির মাংস, মাখন, পেস্ট্রি, কেক ইত্যাদি। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
  • প্যাকেটজাত খাবার বাদ দিতে হবে।
  • ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
  • ধূমপান, মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে।

     

Comments

The Daily Star  | English

Not satisfied at all, Fakhrul says after meeting Yunus

"The chief adviser said he wants to hold the election between December and June"

2h ago