পাউরুটিতে মরা ইঁদুর, টোকিওর বাজার থেকে ১ লাখ রুটি তুলে নিচ্ছে পাসকো

চোজুকু ব্রেড নামের  সাদা পাউরুটির একটি চালানে ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। ছবি: পাসকোর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
চোজুকু ব্রেড নামের সাদা পাউরুটির একটি চালানে ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। ছবি: পাসকোর ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

জাপানের সবচেয়ে বড় খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম পাসকো শিকিশিমা এক লাখ প্যাকেট পাউরুটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। কয়েকটি প্যাকেটে মরা ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটি এই উদ্যোগ নেয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

জাপানে সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানা গেছে। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত দেশটি দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ খাবার রপ্তানিকারকের সুনাম উপভোগ করে এসেছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে পাসকো শিকিশিমা কর্পোরেশন জানিয়েছে, দুই প্যাকেট স্লাইস করা পাউরুটির প্যাকেটে কীভাবে 'একটি ছোট প্রাণীর' দেহাবশেষ পাওয়া গেছে সে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এখন পর্যন্ত এই পাউরুটি খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়নি।

পরবর্তীতে তারা সিএনএনকে জানায়, পাউরুটিতে মরা ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। 

জাপানি ইঁদুর। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাপানি ইঁদুর। ফাইল ছবি: রয়টার্স

চোজুকু ব্রেড নামের এই সাদা পাউরুটির একটি চালানে ইঁদুরের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। 'সুপার ফারমেন্টেড ব্রেড' হিসেবে পরিচিত এই রুটি বেশ মচমচে ও মুখরোচক।

পশ্চিম টোকিও প্রিফ্যাকচারের এক কারখানায় এটি উৎপাদন করা হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই কারখানায় উৎপাদিত সব পণ্য আমরা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেব। কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা চিহ্নিত করে সমাধান করা না পর্যন্ত এই কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

আপাতত এক লাখ চার হাজার পাউরুটির প্যাকেট বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে পাসকো নিশ্চিত করেছে।  

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, 'আমাদের পণ্য বেছে নেওয়ার জন্য ভোক্তাদের অশেষ ধন্যবাদ জানাই।'

এই পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয় না বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র।

প্রথাগত জাপানি খাবারের বিকল্প হিসেবে সাদা পাউরুটি জাপানিদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়।

১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত পাসকো জাপানে বেক করা খাবারের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। জাপানের এই প্রতিষ্ঠানে ১২টি কারখানায় তিন হাজার ৭০০ জনেরও বেশি কর্মী কাজ করেন।

বেশ কয়েক ধরনের পাউরুটি বিক্রি করে পাসকো। ছবি: পাসকর ওয়েবসাইট
বেশ কয়েক ধরনের পাউরুটি বিক্রি করে পাসকো। ছবি: পাসকর ওয়েবসাইট

সাম্প্রতিক সময়ে এটাই জাপানের প্রথম 'খাদ্য কেলেঙ্কারির' ঘটনা নয়।

মার্চে জাপানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোবাইয়াশি ফার্মাসিউটিকেলের তিনটি ডায়েটারি সাপলিমেন্ট বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। এই ওষুধ সেবনে তিন জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ।

গত বছরের আগস্টে খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ারাবেয়া নিচিয়োর রাইস বলে তেলাপোকা খুঁজে পান দুই ক্রেতা। রয়টার্স, জানায়, টোকিওর উত্তরে সাইতামা অঞ্চলে সেভেন ইলেভেন স্টোরে এই পণ্য বিক্রি করা হয়।

পণ্য প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলেছে পাসকো। ক্রেতা ও ভক্তরা এই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রতি ভালোবাসা এবং এতে ইঁদুরের দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়ার বিস্ময় নিয়ে লিখেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda calls for renewed pledge to restore democracy

BNP chief urges disciplined movement to honour late president Ziaur Rahman’s legacy

58m ago