বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের মামলার রায় ২৩ অক্টোবর

জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
প্রতীকী ছবি

জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আজকের যুক্তিতর্কের সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন তিনি।

তবে বজলুর রশিদের বেকসুর খালাস দাবি করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ১৪ জন সাক্ষীর রেকর্ড করা জবানবন্দি। এই মামলায় ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

দুদকের উপ-পরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন একই বছরের ২৬ শে আগস্ট ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা মামলায় দুদক বজলুরকে আটক করে গত বছরের ২০ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বজলুর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২,৯৮১ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনতে ২০১৮ সালে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে ফ্ল্যাটটির মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৯ লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে বলা হয়েছিল। ওই বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ৭ জুনের মধ্যে তিনি নগদ ও চেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু, দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার সঠিক কোনো উত্স তিনি দেখাতে পারেননি।

১৯৯৩ সালে জেলসুপার হিসেবে চাকরি শুরু করেন বজলুর রশিদ। ২০১৩ সালে তাকে ডিআইজি প্রিজন হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে তাকে বদলি করে ঢাকায় আনা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago