‘বাবা কেন কথা বলছে না’

নিহত মকবুল হোসেনের মেয়ে মিথিলার আহাজারি। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় আজ বুধবার পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে মকবুল হোসেন (৪৩) নামে একজন নিহত হয়েছেন।

বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশঘরে ৮ বছর বয়সী মিথিলা আক্তার বাবার লাশ দেখে পরিবারের অন্যান্যদের জিজ্ঞাসা করে, 'বাবা আমার সঙ্গে আর কথা বলছেন না কেন?'

ট্রলিতে রাখা ছিল মকবুলের মরদেহ। বাবাকে একবার দেখার জন্য মিথিলা সেখানে কলাপসিবল গেটের ফাঁকা দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল। অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল তার গাল বেয়ে।

দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া মিথিলা বলছিল, 'বাবা সকালে জিজ্ঞাসা করেছিল, আমি নাস্তা করেছি কি না। ...কেন বাবা আমার সঙ্গে কথা বলছে না।'

মকবুলের স্ত্রী হালিমা বেগম স্বামীর মৃত্যুশোকে কাঁদছিলেন। মিরপুরের বাউনিয়াবাদ এলাকায় থাকেন তারা।

হালিমা জানতে চান, কেন তারা আমার স্বামীকে মেরেছে?

বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দাবি করা হয়েছে, মকবুল বিএনপিকর্মী ছিলেন।

তবে পুলিশের উপস্থিতিতে মকবুলের পরিবার জানায়, তারা মকবুলের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

যদিও পুলিশ চলে যাওয়ার পর মকবুলের এক আত্মীয় সাংবাদিকদের জানান, মকবুল বিএনপিকর্মী ছিলেন।

হালিমা বলেন, 'আমার স্বামী বাড়িতে কাপড়ে কারচুপির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন পরিবার কীভাবে চলবে?'

হালিমার বড় বোন নাসরিন বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মকবুল আজ রাজধানীর মিরপুর-১১ ও চকবাজার এলাকা থেকে কাজের জিনিসপত্র কেনার জন্য তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা এবং অন্য আরেকজনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।

নাসরিন বলেন, 'তিনি কখন বিএনপি অফিসে গিয়েছিলেন তা আমরা জানি না। টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মকবুলের রক্তমাখা ছবি দেখে আমরা হাসপাতালে এসেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid morning in 6 pictures

The morning of Eid-ul-Azha follows old, well maintained patterns

1h ago