‘বিশেষ ট্রেন’ থেকে পড়ে আহত আ. লীগ কর্মীর মৃত্যু

মুসা আলীর জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে নেওয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভার জন্য ভাড়া করা 'বিশেষ ট্রেন' থেকে পড়ে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত মুসা আলীর (৩৯) বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে।  

মুসার ভাই ইসরাফিল আলী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিশেষ ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত মুসা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

'বিশেষ ট্রেনে' ভ্রমণের সময় আহত আরও ৩ জনকে হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইসরাফিল জানান, মুসা আলী প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে গতকাল সকালে বাসে করে রাজশাহী যান। পরে সন্ধ্যায় ফেরার সময় তিনি বিশেষ ট্রেনে ওঠেন।

ট্রেনটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের কাছাকাছি এলে, তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান। কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের আইসিইউতে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার তিনি মারা গেছেন।

ইসরাফিল বলেন, 'ভাইয়ের মরদেহ বর্তমানে রাজশাহীতে অবস্থিত পাকশী রেলওয়ে থানায় আছে। আমি আমাদের নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্যের সঙ্গে সেখানে আছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।' 

মুসার স্ত্রী মিনা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দিনমজুর পরিবার। আমার এক সন্তান আছে নাবালক। এখন আমাদের কী হবে।'

জানতে চাইলে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাজশাহী জনসভা থেকে ফেরার পথে ট্রেন থেকে পড়ে একজন মারা গেছে বলে শুনেছি।' 

রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের অংশ নেওয়ার সুবিধার্থে রেলওয়ের পশ্চিম জোনের পাকশি বিভাগের ৮টি রেলস্টেশন থেকে ৮টি বিশেষ ট্রেন ছাড়া হয়।

রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় পরিবহন দপ্তর জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন, রনহপুর স্টেশন, পাঁচবিবি স্টেশন, সান্তাহার স্টেশন, নাটোর স্টেশন, আরানি স্টেশন, সিরাজগঞ্জ স্টেশন এবং ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এসব ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।  

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago