‘নৌকায় আসতে বাধ্য হয়েছি, রাতে নৌকাতেই থাকব’
'বাস বন্ধ করা হয়েছে। বাধ্য হয়েই নৌকা নিয়ে আসতে হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে যত বাধা আসুক, আমরা দমব না। সিলেটের সমাবেশ সফল হবেই। রাতে নৌকায় থাকব, তবু সমাবেশ সফল করে ছাড়ব।'
আজ শুক্রবার বিকেলে কথাগুলো বলছিলেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মুল্লাগও গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ মিয়া।
তার সঙ্গে আসা সাইফুল ইসলাম, আকবর মিয়াও একই কথা বললেন।
আগামীকাল শনিবার বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে সিলেট নগরীতে এসেছেন তারা।
আজ বিকেলে সিলেট নগরীর কানিশাইল মজুমদার পাড়া খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ থেকে ৮টি বাল্কহেড (ইঞ্জিনচালিত মালবাহী নৌকা) সেখানে পৌঁছেছে। এর প্রত্যেকটিতে আছেন গড়ে ১০০ থেকে ১২০ জন যাত্রী। ঘাটে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। সুনামগঞ্জের ৮টি নৌকা ঘাটে পৌঁছালে হাততালি ও স্লোগান দিয়ে নৌকায় করে আসা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানান তারা।
নেতাকর্মীরা জানান, সড়কপথে যেখানে তাদের ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগত সেখানে নৌপথে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
ছাতক মোল্লাপাড়া থেকে আসা নৌকাচালক মুহিম আলী বলেন, 'সকাল ১০টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে রওনা দিয়েছি। বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেটের কানিশাইল ঘাটে এসে পৌঁছেছি। সিলেট পৌঁছানোর আগে লামাকাজি পয়েন্টে পুলিশ নৌকা থামাতে ইশারা করেছিল।'
সুনামগঞ্জের দোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মামুন মিয়া বলেন, 'বাধা দেওয়ায় নেতাকর্মীরা সমাবেশে যাওয়ার জন্য আরও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। যার প্রমাণ নৌপথে নেতাকর্মীদের ঢল। আরও ৫টি নৌকা আসছে। শনিবারের মধ্যে ২ উপজেলা থেকে কমপক্ষে আরও ৫ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন।'
ছাতক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মনসুর আলী নৌপথে আসা নেতাকর্মীদের জড়ো করছিলেন।
তিনি জানান, দলের নির্দেশনায় নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা জানাতে তিনি সেখানে এসেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতি শুক্রবার ও শনিবার বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।
Comments